ইমাম-মুয়াজ্জিন সেজে বোমা বানাতেন তারা

|

ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিচয়ে বোমা বানানোতে জড়িত দুই নব্য জেএমবি সদস্য।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও বন্দর এলাকায় দুইটি জঙ্গি আস্তানায় রাতভর অভিযান চালিয়ে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানকার ঐতিহ্যবাহী নোয়াগাও মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম সেজে আবু নাঈম এবং মুয়াজ্জিনের বেশে আব্দুল্লাহ আল মামুন গোপন একটি কক্ষে বোমা বানানোর কাজ করতেন।

১৬ একরের বিশাল জায়গাসমৃদ্ধ মসজিদের মুয়াজ্জিনের ঘরে আস্তানা বানিয়েছিলেন জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির একজন সক্রিয় সদস্য। আটককৃত আব্দুল্লাহ আল মামুন কয়েকমাস ধরে এখানে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন। পুলিশের দাবি, মামুন মূলত বোমা বানানোয় বিশেষ পারদর্শী। তাকে যাত্রাবাড়ি থেকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখানে অভিযান চালানো হয়। মামুনের ঘর থেকে তিনটি বড় বোমা ছাড়াও আরও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ‘ডেভিড কিলার’ নামে পরিচিত। সে শক্তিশালী বোমা তৈরি করেছে। পরবর্তী হামলার জন্য সে এসব আইইডি বানিয়ে রেখেছিল। একইসাথে বিস্ফোরণের পর আমাদের টিম সেখানে সার্চ করে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে।

আড়াইহাহাজারে অভিযান শেষ করতে না করতেই জেলার বন্দর থানাধীন হাজীপাড়ার কামড়াবো এলাকায় আরেক জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখা হয়। তালাবদ্ধ কক্ষ ভেঙে সেখান থেকেও শক্তিশালী বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, এলাকার আহলে হাদীস মসজিদের ইমামের দায়িত্ব নিয়ে মাসখানেক আগে এই টিনের ঘর ভাড়া করেন আবু নাইম। বোমা বানানোয় বিশেষ পারদর্শী নাইমকে নব্য জেএমবিতে ডাকা হতো মেজর ওসামা নামে।

সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও জানান, নাইম জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে জানিয়েছে সে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার একজন সদস্য। সে বোমা বানায় এবং বোমা বানানোর একজন প্রশিক্ষকও বটে। এই মসজিদে সে দীর্ঘদিন যাবত ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিল।

পুলিশের দাবি, ১৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ বক্সে শক্তিশালী বোমা উদ্ধারের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে জঙ্গি আস্তানা দুইটির খোঁজ পাওয়া যায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply