মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টেস্ট অবসর নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। মাঠে গার্ড অফ অনার দেয়া হলেও কোন পক্ষই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি যে হারারে টেস্টই তার খেলা শেষ টেস্ট। ধারণা করা হচ্ছে, বিসিবির সাথে এ নিয়ে শীতল এক লড়াই চলছে রিয়াদের।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। এ খবর সবার জানা। তবে খবরটির সত্যতার সপক্ষে প্রমাণ এখনো সেভাবে কিছুই আসেনি। কারণ আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি কেউ। হারারে টেস্টে বাংলাদেশ দলের সদস্যদের দেয়া গার্ড অব অনারের একটি ছবি সম্পূর্ণ পরিস্থিতি খোলাসা করার জন্য যথেষ্ট নয়। এমনকি ম্যাচ শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেয়ার সময়ও কিছু বলেননি রিয়াদ। ধারাভাষ্যকারও কোনো প্রশ্ন করেননি। কিন্তু রিয়াদ চাইলে নিজ থেকেই বলতে পারতেন, এটাই তার শেষ টেস্ট। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চেয়েও বলেননি রিয়াদ।
উপর মহলের মানা ছিল বলেই হয়তো নিজের ফেসবুক পেজে টেস্ট নিয়ে অনেক স্ট্যাটাস দিলেও একবারও বলেননি এটাই শেষ।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুমিনুল হক পরিষ্কার করেননি সব। ঘটনাটিকে তিনি একবার বলেছেন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত; একবার বলেছেন, তারা খেলেছেন রিয়াদের জন্য।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, মুশফিক-মিরাজসহ ক্রিকেটাররা ম্যাচ শেষে রিয়াদকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু কেউ সরাসরি বলেননি এটাই তার শেষ টেস্ট। ব্যতিক্রম শুধু তামিম ইকবাল। একাদশের বাইরের এই ক্রিকেটার বিদায় বলেছেন রিয়াদকে।
তাই প্রশ্ন আসছে, এই লুকোচুরি ও নাটকীয়তার কারণ কী। উত্তরটা পরিষ্কার না হলেও এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, লুকোচুরিটা চলছে মূলত বিসিবির সাথে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেজায় চটেছেন বোর্ড সভাপতি। তিন ফরম্যাটে খেলবেন এমন লিখিত দিয়েছিলেন রিয়াদ। তার উপর বোর্ডের অনুরোধ, কোনো কিছুই নাকি টলাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর সিদ্ধান্তকে। এমন অবস্থায় তার টি-২০ অধিনায়কত্ব নিয়েও নাকি ভাবা হচ্ছে!
শেষ পর্যন্ত রিয়াদের টেস্ট অবসরের জল কোথায় গড়ায় সেটা বড় প্রশ্ন। তবে আপাতত এটা পরিষ্কার যে, ক্রিকেটারদের আন্দোলনের পর বোর্ডের সাথে তৈরি হওয়া ক্রিকেটারদের দূরত্ব আবারো বেড়েছে এবং আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে।
Leave a reply