অবশেষে দেশে ফিরছেন শ্রীদেবী

|

অবশেষে মৃত্যুর চারদিনের মাথায় নিজ ভূমে ফেরার অনুমতি পেয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘চাঁদনী’ শ্রীদেবী। ভারতে দেহ নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে দবাই পুলিশ।

প্রয়াত অভিনেত্রীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ রাতেই মুম্বাই পোঁছানোর কথা রয়েছে। স্বামী বনি কাপুরের নিকট আত্মীয় অনিল আম্বানির নিজস্ব বিমানে শ্রীদেবীর মরদেহ ভারতে আনা হবে।

এই মৃত্যুর পর গত চার দিনে তিনবার তার স্বামী বনি কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এমনকি আজ মঙ্গলবার বনি’র পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছিল।

তবে শেষ অবধি বনি কাপুরকে নিরপরাধ হিসেবে অব্যাহতি দিয়েছে দুবাই পুলিশ। ফেরত দেওয়া হয়েছে তার পাসপোর্টও।

দুবাইয়ের নিয়ম অনুসারে, কোনো ব্যক্তি হোটেলে মারা গেলে তার ময়না তদন্ত করতে হয়। সেজন্য শ্রীদেবীর ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্তে দূর্ঘটনা জনিত মৃত্যু বলা হলেও মামলা দায়ের করেছে দুবাই পুলিশ।

অবশেষে আজ মঙ্গলবার মামলা গুটিয়ে নিয়েছে দুবাই পুলিশ। দুবাই পুলিশের দেওয়া ময়না প্রতিবেদন অনুসারে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি শ্রীদেবী। তিনি মাথা ঘুরে বাথটাবে পড়ে যান, বাথটাবের পানিতে ডুবে তার মৃত্যু ঘটেছে।

এদিকে শ্রীদেবীর অন্তিম যাত্রায় বাড়ির ফেরা নিয়ে সবাই ভীষণ ব্যস্ত। সিনেমা জগতের এই মহাতারকার পছন্দের রঙ সাদা। তার অন্তিম ইচ্ছা অনুসারে ভারসোভায় তার বাংলো বাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছু সাদা রঙের গোলাপ, অর্কিড, লিলিতে সাজানো হচ্ছে।

তবে কখন শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সূচি পাওয়া যায়নি।

ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিল নাড়ুর শিবাকাশিতে ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট জন্ম গ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। তার পুরো নাম শ্রী আম্মা আয়াঙ্গার ইয়াপ্পান। ১৯৯৬ সালে তিনি বনি কাপুরকে বিয়ে করেন। নায়ক অনিল কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের বড় ভাই বনি কাপুর পেশায় একজন সিনেমা প্রযোজক।

শক্তিমান অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি নৃত্যশিল্পী ও কৌতুক অভিনেত্রী হিসেবেও ছিলেন অমিত প্রতিভার অধিকারিনী। তার দুই মেয়ে জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ

আরও পড়ুন:

শ্রীদেবীর আলোচিত যত সিনেমা

‘শ্রীদেবীকে হত্যা করা হয়েছে’

শ্রদেবীর মৃত্যু: বনি কাপুরের পাসপোর্ট জব্দ

শ্রীদেবীর মৃত্যুকে ঘিরে ‘রহস্য’ থেকেই যাচ্ছে!

শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান

শ্রীদেবীর মৃত্যু কি হৃদরোগে?


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply