শত ভোগান্তি উপেক্ষা করেও নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে ঢাকাবাসী

|

বাসে-লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

করোনার ব্যাপক সংক্রমণ আর শত ভোগান্তি উপেক্ষা করেও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ির পথে ছুটছেন ঢাকাবাসী। প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাস-ট্রেন-লঞ্চে চড়ে কর্মচঞ্চল ঢাকা ছাড়ছেন তারা।

গত রাত থেকেই ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ন্যুনতম সামাজিক দুরত্ব না মেনেই যাত্রী বোঝাই করে ঘাট ছেড়ে গন্তব্যে রওনা হতে দেখা গেছে লঞ্চগুলোতে। সময়ের সাথে সাথে সদরঘাটে যাত্রীচাপ বেড়েই চলেছে।

এদিকে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের। বঙ্গব্ন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমাতে গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ ছিলো। যার প্রভাব পড়ে এই মহাসড়কে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ঘারিন্দা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার জুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। সেতুর পশ্চিমপাড়েও সকালের দিকে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত গাড়ির ধীরগতি ছিলো। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষেরা জানান, ঈদুল আজহা এবং ঈদের পর কঠোর লকডাউনের ঘোষণাকে সামনে রেখে ঢাকা ছাড়ছেন তারা। নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত যাত্রী সমাগমের ফলে সামাজিক দুরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে গাড়ি। আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের মাওনা পর্যন্ত যেতে লাগছে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা।

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশেও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।

/এসএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply