ভোলায় মাদক দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগে এএসআই অবরুদ্ধ

|

মাদক দিয়ে যুবককে ফাঁসানো অভিযোগে জনতাকে অবরুদ্ধ করলো এএসআই।

ভোলার চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ইউনিয়নে আল আমিন নামে এক যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ হয়েছেন চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান। খবর পেয়ে চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যসহ অবরুদ্ধদের উদ্ধার করেন।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের নতুন সুলিজ এলাকায় মৎস্য ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

যুবক আল আমিন জানান, নতুন সুলিজ মৎস্য ঘাটে শনিবার বিকেলে তিনি তার বাবার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইমা ফিশ এ যান। ওই সময় চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আড়ৎ থেকে তাকে আটক করে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় আনার চেষ্টা করেন।

আল আমিন তাকে আটকের কারণ জনাতে চাইলে তার সঙ্গে মাদক আছে বলে জানান এসআই সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় তিনি কৌশলে তার প্যান্টের পকেটে মাদক দেওয়ার চেষ্টা করেন। মাদক দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার বাবার মৎস্য আড়ৎ থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার ব্যবহৃত ৬৪ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান বলেও জানান আল আমিন।

আল আমিনের চাচা ওমর ফারুক বাবুল মিয়া জানান, আড়তে হঠাৎ পুলিশ হানা দিয়ে সাথে মাদক আছে বলে আলামিনকে আটক করে। কিন্তু, স্থানীয়দের সামনে তল্লাশী করে সাথে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই সময় চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে চরফ্যাশন থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যান এবং তার পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

স্থানীয়-ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রায় রাতেই এসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ কিছু পুলিশ সদস্য ওই মৎস্য ঘাটে হানা দেন। সাধারণ ব্যবসায়ী, জেলে এবং যুবকদের মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন। টাকা না দিলে আটক করে থানায় নিয়ে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করেন।

উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান মাদক দিয়ে ফাঁসানো অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে জানান, ওই যুবকের কাছে মাদক আছে এমন সংবাদের ভিত্তি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করলে স্থানীয়রা তাকে ছিনিয়ে নেয়, এজন্য তল্লাশী করতে পারিনি। বিক্ষুব্ধ জনতা ঘিরে ধরলে পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমার চলে আসি।

চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, ওই যুবকের কাছে মাদক আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ মাদক অভিযানে যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ফেললে আল আমিন তার সাথে থাকা মাদক ফেলে দেয়। এজন্যই তার কাছে মাদক পাওয়া যায়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply