সামরিক ব্যয় ৮ শতাংশ বাড়াচ্ছে চীন

|

চলতি অর্থ বছরে সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে এক দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে উন্নীত করতে যাচ্ছে চীন। এ ব্যয় আগের বছরের তুলনায় আট শতাংশ বেশি।

দেশটির রাজধানী বেইজিং-এ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) চলমান বার্ষিক সভায় প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এ ঘোষণা দেন। চলতি ২০১৮ সালের জন্য চীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান। ২০১৭ সালে দেশটির অর্জিত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ছয় দশমিক ৯০ শতাংশ।

সংসদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেদনে লি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার পরিবেশে গভীর পরিবর্তন এসেছে। এই অবস্থায় সেনাবাহিনীকে পাথরের মতো শক্ত হতে হবে।”

প্রতিবেদনের তিনি আরও বলেন, “অভ্যন্তরীণ ঝুঁকির নিয়ন্ত্রণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান লাগাম টেনে ধরা, এবং অবৈধ তহবিল গঠন ও আর্থিক দুর্নিতীকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

বিবিসি বলছে, সামরিক এই বাজেট বৃদ্ধিকে দক্ষিণ চীন সাগর ও হিমালয়ের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেশটির কৌশলগত উচ্চাভিলাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রসহ চীনের প্রতিদ্বন্ধী দেশগুলোর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

শি চিন পিংকে অনির্ধারিত সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে রাখতে সর্বাধিক দুই বার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সাংবিধানিক বাধ্যকতাও এ বারের এনপিসি বৈঠকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীনে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় কমিউনিস্ট পার্টির তিন হাজার সদস্যদ নিয়েই এনপিসি গঠিত হয়।

চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে কোটি কোটি লোক দারিদ্র সীমার নিচ থেকে ‍উঠে এসেছে, এবং দেশটিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকার বেশ বেড়েছে।

শুধু মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিস্তার নয়, উচ্চ বিত্তদের সংখ্যাও বেড়েছে ‍উল্লেখযোগ্য হারে। বর্তমানে দেশটিতে শত খানেক শত কোটি ডলার সম্পদের মালিক রয়েছেন, এবং এদের অধিকাংশই চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের সদস্য।

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে রোববার এনপিসি মুখপাত্র ঝ্যাং ইসুই বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপে চীনের স্বার্থ লঙ্ঘিত হলে চীন চুপচাপ বসে থাকবে না।”

এনপিসি’র এই বার্ষিক সভায় সরকার তিনটি লক্ষ্যের কথা বলেছে-আর্থিক ঝুঁকি হ্রাস, লাগামহীন দূষণ নিয়ন্ত্রণ, এবং দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply