বাবা খুন হবেন জানতেন রাহুল

|

দাদি ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে খুন হয়েছিলেন নিজের শিখ দেহরক্ষীদের হাতেই। বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, অমৃত শহরের শিখদের সবচেয়ে পবিত্র উপসানালয় স্বর্ণ মন্দিরে অপারেশন ব্লু-স্টার এ হত্যাকণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে।

বাবা রাজিব গান্ধী ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী জনসভায় এলটিটিই-এর এক নারী আত্মঘাতী ‘জঙ্গি’র ঘটানো বিস্ফোরণে মারা যান। ওই নারীর দেওয়া বিশাল ফুলের মালায় ছিল দূর নিয়ন্ত্রণ বোমা। সেই বোমায় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যান রাজীবের দেহ।

রাজিব গান্ধী খুন হবেন এটি নাকি জানতেন কংগ্রেসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং রাজিব ও সোনিয়া তনয় রাহুল গান্ধী। এমনকি ইন্দিরা যে খুন হবে তা নাকি তিনি জানতেন।

ঘটনা দু’টির এত বছর পর এমন সব দাবি করেছে রাহুল স্বয়ং নিজেই। সিঙ্গাপুরে আইআইএম-এর প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেছেন, বাবাকে যে হত্যা করা হবে, তা জানতাম। সেটা বাবাকে বলেওছিলাম।

রাহুল বলেছেন, “রাজনীতিতে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে কেউ যখন লড়াই করেন, তাকে তখন খুন হতেই হয়।”

তিনি আরও বলেন, “ঠাকুমা (ইন্দিরা গাঁধী) মারা যাবেন, আমরা জানতাম। ঠাকুমা আমাকে বলেছিলেন, তিনি মারা যাবেন।”

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “রাজনীতিতে যে বড় শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করি, তা সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু সেই অদেখা শক্তি আঘাত হানতে পারে। আমরা হতাশ ও আহত ছিলাম অনেক বছর, ছিলাম ক্ষুব্ধও।”

এরপরও তিনি ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা তাদের বাবার হত্যাকারীদের পুরোপুরি ক্ষমা করে দিয়েছি বলে জানিয়েছেন রাহুল

স্মৃতির পাতা হাতড়ে রাহুল বলেন, “ আমার বয়স ছিল ১৪। আমার ঠাকুমার হত্যাকারীদের সঙ্গে আমি ব্যাডমিন্টন খেলতাম। বাবাকেও এরপর হত্যা করা হল।”

তাই সারাদিন ১৫ জন নিরাপত্তা রক্ষী তাকে ঘিরে আমাকে ঘিরে থাকলেও এতে কোনো সুবিধা আছে বলে মনে হয় বলে জানান তিনি।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply