মেজর সিনহা হত্যা মামলায় চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

|

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় হামজালালের অসমাপ্ত জেরা দিয়ে চতুর্থ দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০ টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আজ প্রথমে স্বাক্ষী হামজালালকে ওসি প্রদীপের আইনজীবীসহ তিন আসামির আইনজীবী জেরা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, হামজালালকে জেরা ছাড়াও আজ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা খান, বেবি বেগম এবং মোহাম্মদ ছালেহ আহমেদকে স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ২ নম্বর সাক্ষী ছিলেন ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় ৩ দিনে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ওসি প্রদীপসহ মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়ার সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‍্যাবকে। ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply