ভুল বোঝাবুঝির ইঙ্গিত, পরস্পরকে দোষারোপ

|

নেপালেন ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার ‘বোম্বারডিয়ার ড্যাস-৮ কিউ৪০০ মডেলের বিমানটি অবতরণের আগে অস্বাভাবিক ওঠানামার তথ্য পাওয়া গেছে, ফ্লাইট ট্র্যাকারে। পাইলটের সাথে বিমানবন্দরের টাওয়ারের কথোপকথনের রেকর্ডেও ইঙ্গিত আছে অস্বাভাবিকতা ও ভুল বোঝাবুঝির।

ইউ-এস বাংলা কর্তৃপক্ষের ধারণা, টাওয়ারের ভুল নির্দেশনার কারণেই দুর্ঘটনা। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আফিফ দাবি করেন, এ দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলটের কোনো গাফিলতি ছিল না। তিনি বলেন, নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার কারণেই ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।

অন্যদিকে দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের ভুলকে দায়ী করছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরাকে বিমানবন্দরটির জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেত্রি বলেছেন, পাইলট তাদের নির্দেশনা মানেননি। বিমানটি কন্ট্রোল রুমের নির্দেশনা অনুসরণ করেনি।

ছেত্রির দাবি, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিমানটিকে দক্ষিণ দিকে অবতরণের অনুমোদন দিলেও তারা উত্তর দিকে অবতরণের চেষ্টা করে।

তবে, পাহাড় বেষ্টিত ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি দুর্ঘটনার জন্য কুখ্যাত। (আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার জন্য কুখ্যাত ত্রিভুবন বিমানবন্দর)বিমানবন্দরটিতে এ পর্যন্ত ৭০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার সবশেষ সংযোজন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইটটি।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply