ঘরে পেট্রোল ঢেলে শাশুড়ি ও সৎ ছেলেকে হত্যাচেষ্টা

|

কালিগঞ্জে স্বামীকে তালাক দেয়ায় প্রতিশোধ নিতে ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে শাশুড়ি ও সন্তানকে হত্যার চেষ্টা।

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্বামীকে তালাক দেয়ায় প্রতিশোধ নিতে ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে শাশুড়ি ও স্ত্রীর আগের পক্ষের সন্তানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

শনিবার (২ অক্টোবর) ভোররাত ৩টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাজলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় শাশুড়ি ফাতেমা খাতুন (৪৫) ও সৎ ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নাজমুলকে (৮) ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সৎ বাবা সবুজ গাতিদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কাজলা গ্রামের আব্দুস সাত্তার সরদার জানান, কিছুদিন আগে তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে নাজমা খাতুনের সঙ্গে কালীগঞ্জের ভাঙানমারির ৮০ বিঘার বাসিন্দা সবুজ গাতিদারের বিয়ে হয়। পরে আমরা জানতে পারি সবুজ ডাকাতি মামলার আসামি। সে আমার মেয়েকে নির্যাতন করায় আগস্ট মাসের শেষের দিকে নাজমা সবুজকে তালাক দেয়। তালাক দেয়ার পর সবুজ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের বাড়ির দরজায় শিকল তুলে দিয়ে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছিটিয়ে একটি লাঠির মাথায় কাপড় জড়িয়ে তাতে আগুণ লাগিয়ে ঘরের মধ্যে ছুড়ে দেয়া হয়। এ সময় ঘরের মধ্যে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলার একপর্যায়ে তার স্ত্রী ফাতেমা ও নাতি নাজমুল ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। বাইরের দিক থেকে দরজায় শিকল লাগিয়ে দেয়ায় তারা আর বের হতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা এসে ফাতেমা ও নাজমুলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাজমুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও ফাতেমার ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদেরকে বাঁচানো কঠিন হলেও তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় আব্দুস সাত্তার সরদার বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সবুজ গাতিদারকে সাতক্ষীরা জজ কোর্ট এলাকা থেকে রোববার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply