কাতার নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের পরাজয়ে হতাশ নারী ভোটাররা

|

ছবি: সংগৃহীত।

কাতারে শনিবার (২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত আইনসভার (শুরা কাউন্সিল) প্রথম নির্বাচনে জিততে পারলেন না কোনো নারী প্রার্থীই। নির্বাচনে ২৬ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, আমিরশাসিত উপসাগরীয় দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে কোনো নারী প্রার্থীকে ভোটাররা সমর্থন না করায় বেশ হতাশই তারা।

আইনসভার ৪৫টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বাকি আসনগুলোতে নিয়োগ দেবেন কাতারের আমির। দেশটিতে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় ছোট তবে ধনী এই রাষ্ট্রে সীমিত পর্যায়ে আইনকানুন ও নীতিমালা অনুমোদনের সুযোগ পাবে এই কাউন্সিল।

কাতারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

আইনসভার মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্যদের অধিকার ও দায়িত্ব একই থাকবে। তারা সরকারের সাধারণ নীতি ও বাজেট অনুমোদন করবেন। এ ছাড়া নির্বাহী কর্তৃপক্ষের ওপর তাঁদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

আয়েশা হামাম (৫৯) দোহার মারখিয়া এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের নার্সিং ব্যবস্থাপক। তিনি কাতারি নারীদের কণ্ঠ সোচ্চার করা ও ভবিষ্যতে শক্তিশালী নারী প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নারী প্রার্থীদের একজন জাসিম। তিনি বলেন, কিছু পুরুষ মনে করেছিলেন, নির্বাচনে নারীরা দাঁড়াতে পারবেন না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মধ্য দিয়ে তিনি তাঁদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন।

এদিকে সব নারী প্রার্থীর হেরে যাওয়া প্রসঙ্গে আল-জসিম নামের (৬৫) একজন পুরুষ প্রার্থী বলেন, নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণকে তিনি সমর্থন করেন। কিন্তু তিনি মনে করেন, নারীদের প্রাথমিক কাজ পরিবার সামলানো। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ওদিকে হেরে যাওয়া নারী প্রার্থীদের সান্ত্বনা দিয়ে কাতারের জনপ্রিয় লেখক এবতেশাম আল-সাদ টুইটারে লেখেন, ‘আপনারা লড়াইয়ে হেরেছেন কিন্তু অংশগ্রহণের লড়াইয়ে জিতেছেন।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply