এবার চীনকে হুঁশিয়ারি তাইওয়ানের; বাড়লো যুদ্ধের উত্তেজনা

|

ছবি: সংগৃহীত

এবার চীনকে কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিলো তাইওয়ান। সর্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আসলে কোনো ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানায় দেশটি। তবে নিজেদের সমঝোতার সম্পর্কে বিশ্বাসী বলেও দাবি করে দেশটি।

তাইওয়ানের আকাশে গত কয়েকদিনে শতাধিকবার মহড়া দেয় চীনের সামরিক বিমান। বোম্বার, ফাইটার জেট আর গোয়েন্দা বিমানের মতো একের পর এক বিমানের মহড়ায় দুই দেশের মধ্যে দেখা দেয় যুদ্ধ উত্তেজনা। একে চীনের আগ্রাসন আখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রস্তুতি নেয় তাইওয়ানও। এমনকি বেইজিংয়ের তৎপরতা ঠেকাতে আলোচনা হয় পার্লামেন্টে। দাবি জানানো হয় বাড়তি অর্থ ছাড়ের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় দুই অঞ্চলে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন জানান, আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সাথে সামরিক সংঘাত নয় বরং সমঝোতামুলক সম্পর্ক চায় তাইওয়ান। কারণ আমরা শান্তি এবং স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করি। তবে এটাও স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, যদি কোনো ধরনের আগ্রাসনের মুখোমুখি হতে হয় তাহলে নিজের গণতন্ত্র এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ নেবে তাইওয়ান।

যদিও এসব অভিযোগকে প্রপাগাণ্ডা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে চীন। দেশটির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতেই এসব অপপ্রচার চলছে বলে দাবি বেইজিংয়ের।
জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি ঝুয়াং জুন বলেন, চীনের বিরুদ্ধে কিছু দেশ সব সময় এমন কিছু অভিযোগ করে যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিলই নেই। আসলে চীনের যে উন্নয়ন তাকে বাধাগ্রস্থ করতেই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যার কারণে বারবার চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আগ্রাসনের অভিযোগ চালানো হচ্ছে। আসলে এগুলোর কোনো ভিত্তিই নেই।

১৯৪৯ সালে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে। তবে এখনো তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে বেইজিং। প্রয়োজনে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়ে আসছে তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply