খুলনায় মাইলকে মাইল খোলা ড্রেন; কী বলছেন মেয়র?

|

খুলনা শহরের জায়গায় জায়গায় বিশাল উম্মুক্ত ড্রেন। কোনোটির দৈর্ঘ্য আট কিলোমিটার; কোনোটির আবার তিন-চার কিলোমিটার। চওড়া ১৫-২০ ফুট। কয়েকটি স্থানে প্রশস্ততা সড়কের দ্বিগুণ। তার পাশ দিয়ে চলাচল করছে লোকজন। হাটছে শিশুরাও। যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়ানক দুর্ঘটনা। তবে সিটি মেয়র দুর্ঘটনার জন্য জনসাধারণের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করছেন।

খুলনা শহরের সবচেয়ে বড় ড্রেনটি আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। মতিয়াখালি ড্রেন নামক এই ড্রেনটি ছাড়াও মহিরবাড়ি বড় খাল, ক্ষেত্রখালি, নিরালা, গোড়াখাল, নবীনগর, বাস্তুহারা খাল নামের কংক্রিকেটের ড্রেনগুলো সবই উম্মুক্ত। ড্রেনঘেঁষে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

উম্মুক্ত এই ড্রেনগুলো নিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। বিভিন্ন সময় আবর্জনা জমা নোংরা পানিতে পড়ে আহত হয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি এক ভ্যান ও সাইকেল চালকও পড়ে মারাত্মক জখম হন। স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেন করে সেটাকে অরক্ষিত রেখে কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি ছাড়া কিছুই নয়।

তবে নগরবাসীর এমন অভিযোগকে খুব একটা আমলে নিতে চান না সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। তার দাবি, সবকিছু আছে ঠিকঠাকই। শুধু নেই জনসাধারণের সচেতনতা। আর এজন্যই ঘটছে এমনসব দুর্ঘটনা।

নগর পরিকল্পনাবিদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জাকির হোসেন মতে, কিছু উদ্যোগের বাস্তবায়ন করলেই এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারে নগরবাসী।

নগরীতে এক হাজার ২০৫ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। তবে এর মধ্যে কতটুকু অংশ উম্মুক্ত তার পরিসংখ্যান দিতে পারেনি কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply