ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই স্টেশনে ট্রেন থামাতে লিগ্যাল নোটিশ

|

হেফাজতের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এরপর থেকেই স্টেশনটিতে থামছে না কোনো ট্রেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে সেখানে সব ধরনের ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের অধিবাসী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মজিবুল হক ভূঁইয়া গত ১০ অক্টোবর তাদের প্রতি এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আইনজীবী নিজেই নিশ্চিত করেন। এতে বিবাদী করা হয় রেলওয়ে অধিদফতরের সহকারী মহাপরিচালক (অপারেশন), রেলওয়ে অধিদফতরের যুগ্ম মহাপরিচালক, রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার (পূর্ব), সহকারী রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার (পূর্ব), রেলওয়ে হেড অব পূর্বাচল ও স্টেশন মাস্টারকে।

নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে লোকাল মেইল ও আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রেল স্টেশনের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু না করলে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে উচ্চ আদালতে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।

আইনজীবী জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে লোকাল ও আন্তঃনগরসহ প্রায় ১৭টি ট্রেন থামতো। গত মার্চে হেফাজতের হরতালের দিন স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর জুন মাস থেকে স্টেশনে কোনো ট্রেন থামছে না। আমাদের দাবি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে আগের মতো ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করবে।

২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংঘর্ষের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এসময় একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদরাসাছাত্ররা প্রথমে স্টেশনের ট্রেনের কন্ট্রোল প্যানেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর স্টেশনের সাতটি কক্ষে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার ও চেয়ার ভাঙচুর করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply