জাহাজ চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রতিবছর অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের শুরুতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য জাহাজ চলাচলসহ পর্যটকদের ভ্রমণ উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু এখনো জাহাজ চলাচলের অনুমোদন দেয়া না হলেও অনেক পর্যটক কাঠের ট্রলারে কিংবা স্পিড বোটে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করছেন। এতে নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে সেন্টমাটিনে পর্যটকদের আটকে পড়ার ঘটনাও ঘটছে।

ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত এ বিড়ম্বনা এড়াতে জাহাজ চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত কাঠের ট্রলারে কিংবা স্পীড বোটে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ না করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রলারগুলো যাতে পর্যটক পরিবহন না করে এবং কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বলে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবারও (১৯ অক্টোবর) অর্ধশতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়েছেন। ইউএনও বলেন, এখনো যারা সেন্টমার্টিন অবস্থান করছেন তাদের ফিরে অসতে হবে।

তবে বুধবার সকালেও সেন্টমার্টন ভ্রমণের জন্য টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট এলাকায় টিকিট কাউন্টারের সামনে পর্যটকদের ভিড় করতে দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা কাঠের ট্রলারে করে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার জন্য এখানে আসেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় কোনো পর্যটককে টিকিট দেয়া হয়নি। ফলে পর্যটকেরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারেননি।

কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে টেকনাফ কোস্টগার্ড এর পক্ষ থেকে কোনো পর্যটক ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে করে সেন্টমার্টিন যেতে না পারে সে ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তাছাড়া কোস্টগার্ড পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় প্রাধান্য দিয়ে দেখে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূণিঝড় ইয়াসের সময় আগে থেকে ঝরাজীর্ণ হয়ে পড়া সেন্টমাটিন জেটিটির বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন ধরেছে। ফলে সেটি মেরামত না করা পর্যন্ত সেখানে জাহাজ চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে না।

তবে জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাঠ দিয়ে সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী জাহাজের ইনচার্জ বাহাদুর হোসাইন।

উল্লেখ্য গত শনিবার টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট থেকে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যান। পরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে দুই দিন নৌপথে সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় তারা আটকা পড়েছিলেন। পরে তারা মঙ্গলবার কাঠের ট্রলারে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply