যেকোনো মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে চালু থাকা অবস্থায় তা বন্ধ না করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়াছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করেই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন আনছে সরকার।
অবৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল সেটের নেটওয়ার্ক সচল হওয়ার পর তা শনাক্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হবে, এমনটিই বলা হচ্ছিল এতদিন।
গত ১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা চালু হয়। ১ অক্টোবর থেকে ব্যবস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করে বিটিআরসি। এনইআইআর ব্যবস্থা চালুর পর অবৈধভাবে আনা মোবাইল সেট শনাক্ত করা হচ্ছিল। এবং প্রমাণ দিয়ে অবৈধ সেট নিবন্ধনের জন্যও বলা হচ্ছিল। এতে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা ও উপহার হিসেবে পাওয়া মোবাইল সেট নিবন্ধনে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, এনইআইআর ব্যবস্থাটি চালুর পর মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। সাধারণ মানুষের জন্য নিবন্ধন একটি ভোগান্তির কাজ। বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ জানে না কীভাবে মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বর (শনাক্তকরণ নম্বর) দিয়ে বৈধ অবৈধ যাচাই করতে হয়। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মোবাইল সেট নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তির কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হোক সেটাও আমরা চাই না। তবে দেশে যেন অবৈধ পথে মোবাইল সেট ঢুকতে না পারে সেক্ষেত্রে সব রকমের পদক্ষেপ চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এনইআইআর ব্যবস্থার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের একটি ডাটাবেইজ তৈরি হচ্ছে। সেখান থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাইলে বৈধ অবৈধ ফোন সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবে বিটিআরসি।
প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর থেকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আমদানি করা কোনো মোবাইল ফোন আর ব্যবহার করা যাবে না। এরপর থেকে দেশে কোনো অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছিল বিটিআরসি। এবং অবৈধ মোবাইল সেট শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল বিটিআরসি।
Leave a reply