রোববার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ প্রসঙ্গে খেলার সাথে ধর্ম মিশিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন ওয়াকার ইউনুস। তা নিয়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়, প্রতিবাদ করেন হার্শা ভোগলে। অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলেন এই কিংবদন্তি পাক পেসার।
ঘটনার সূত্রপাত যাকে নিয়ে, তিনি পাকিস্তানি উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ম্যাচের দিন পানি পানের বিরতির সময় মাঠেই নামাজ পড়েন তিনি। সেইদিনই পাকিস্তানের এক টেলিভিশন চ্যানেলে ওয়াকার ইউনুস বলেছিলেন, হিন্দুদের সামনে রিজওয়ানের নামাজ পড়া তার কাছে বিশেষ কিছু।
তিনি আরও বলেন, হিন্দুদের দেখিয়ে দেখিয়ে এমন ধর্মচর্চাটা আসলে রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের চেয়েও সুন্দর!
এরপরই নিজের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিবাদ করেন হার্শা ভোগলে। তিনি লেখেন, ওয়াকার ইউনুসের মতো একজন মানুষ যখন বলেন হিন্দুদের সামনে রিজওয়ানের নামাজ পড়া তার কাছে বিশেষ কিছু, সেটা শোনা আমার জন্য সত্যিই হতাশার। আমরা অনেকেই যেখানে যথাসম্ভব এসব চাপা দিয়ে খেলার কথাগুলোকেই বেশি বেশি তুলে ধরছি, সেখানে এইসব কথাবার্তা সত্যিই রীতিমতো ভয়ঙ্কর।
তিনি আরও লেখেন, আমি সত্যিই আশা করি পাকিস্তানের সত্যিকারের ক্রীড়াপ্রেমীরা আমার সঙ্গে একমত হবেন এবং তার এই মন্তব্যের ভয়াবহ দিকটি অনুধাবন করবেন। এরকম অবস্থায় আমাদের মতো ক্রীড়াপ্রেমীদের মানুষকে বলা কঠিন হয়ে যায় যে এটা শুধু মাত্র একটা খেলা, কেবলই একটা ক্রিকেট ম্যাচ।
খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে কথাবার্তায় আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হার্শা বলেন, আমরা ক্রিকেট বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই, ধর্ম দিয়ে বিভক্ত করতে চাই না।
হার্শার প্রতিবাদের পরেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওয়াকার ইউনুস। তিনি তার ভুল অনুধাবন করতে পেরেছেন বলেও জানান।
ওয়াকার বলেন, উত্তেজক মুহূর্তে আমার মুখ দিয়ে একটা কথা বেরিয়ে গিয়েছে, যেটা আসলে আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন। সেজন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমি আসলে এটা বলতে চাইনি, ভুল হয়ে গেছে। খেলা আসলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে।
Leave a reply