নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যেসব লজ্জার রেকর্ড গড়লো কোহলিরা

|

ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় হারে বেশ কিছু লজ্জার রেকর্ড সঙ্গী হলো ভিরাট কোহলির দলের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়লো ভারত। সেইসঙ্গে ২২ বছর পর বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে হারের লজ্জা রোহিত-কোহলিদের। আর টানা দুই হারের পেছনে আইপিএলকেই দায়ী করলেন পেসার জাসপ্রীত বুমরাহ।

অধিনায়ক কোহলির দাবি, নড়বড়ে আত্মবিশ্বাসই ডুবিয়েছে তার দলকে।পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ড। ১০ উইকেটের পর ৮ উইকেটের হার। রীতিমতো দুঃস্বপ্নের শুরু আসর ফেভারিট ভারতের। সেই সাথে সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত শেষ ভিরাট কোহলির দলের।

কিউইদের বিপক্ষে মাত্র ১১০ রানে করে জুটেছে ৮ উইকেটের হার। আর তাতেই দু’টি লজ্জার রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে ভারতের। টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করে এটিই দলটির সবথেকে কম রানের ইনিংস। এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিল ১৩০ রানের সংগ্রহ।

টানা দুই হারের কারণে জুটেছে আরও একটি লজ্জার রেকর্ড। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে আজহার উদ্দিনের করা সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন ভিরাট কোহলি। সেবার আসরের প্রথম দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছিল দলটি। ২২ বছর পর এবার পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে শুরু ভারতের। আর এই ব্যর্থতার জন্য পরোক্ষভাবে আইপিএলকেই দুষলেন পেসার জাসপ্রীত বুমরাহ।

বুমরাহ বলেন, বিশ্রামের দরকার হয়। টানা ছ’মাস খেলতে থাকা সহজ নয়। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর প্রয়োজন হয়। সেটা মনের মধ্যে প্রভাব ফেলে। কিন্তু এটাও সত্য মাঠে নামলে এসব ভাবলে চলে না। বোর্ড চেষ্টা করছে আমাদের সাহায্য করতে। কিন্তু সূচি কী হবে সেটা আমাদের হাতে থাকে না। জৈব সুরক্ষা বয়লের মধ্যে থাকলে মানসিক ক্লান্তি আসেই। কিন্তু কিছুই করার নেই।

অধিনায়ক কোহলির দাবি ক্রিকেটারদের নড়বড়ে আত্মবিশ্বাসই ডুবিয়েছে তার দলকে। কোহলি বলেন, অদ্ভুত লাগছে। ব্যাট বা বল কোনোটাতেই আমরা সাহসী ছিলাম না। মাঠে নামার পর থেকেই আমাদের নড়বড়ে মনে হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই চাপে ছিলাম। ব্যাটিংয়ে কেমন যেনো দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। এটা সত্য, ভারতের হয়ে খেলতে নামলে চাপ থাকবেই। আর এই চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে লড়াই করতে হবে।

শেষ চারে যেতে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও। তারপরও কোহলি বলছেন, সব শেষ হয়ে যায়নি এখনও।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply