এমআরপির রমরমা বানিজ্য চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। পাসপোর্ট পেতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে ছুটে আসছে সেবা গ্রহীতারা। মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে দেয়া হচ্ছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। অথচ নিয়ম মেনে আবেদন করেও হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
নিজ জেলা রাজশাহীতে না পেয়ে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসেছেন বাঘা উপজেলার শেফালী খাতুন। একই অবস্থা শরিয়তপুর জেলার দুলাল আকন্দ, গোপালগঞ্জের আবু জাফর রাশেদ আহমেদসহ অন্যদের। দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে হাজির হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। এজন্য অবশ্য দালাল চক্রকে দিতে হয়েছে মোটা অংকের ঘুষ। আবার ঘুষ দিয়েও পাসপোর্ট মেলেনি অনেকের।
অথচ দালাল চক্রকে পাশ কাটিয়ে বৈধপথে আবেদন করেছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলার তুহিন আলী। ফলাফল, ৩ বছর ধরে পাসপোর্টের জন্য ঘুরছেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সহকারী পরিচালক ও তার দুই সহযোগীর নেতৃত্বেই চলছে দালাল সিন্ডিকেট। তবে ঘুষ লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সদ্য বদলি হওয়া সহকারী পরিচালক আফজাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুলাই মাসে আধুনিক প্রযুক্তির ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে।
Leave a reply