আমরা দু’টি ম্যাচ জিততে পারতাম, এতে গল্পটা অন্যরকম হতো: রিয়াদ

|

ছবি: সংগৃহীত

আবারও হারলো বাংলাদেশ। শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে হারার পর চতুর্থ ম্যাচেও জয়ে দেখা পেল না মাহমুদউল্লাহর দল। ৬ ওভার বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে বাভুমারা। এতে এবারেরে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।

আফ্রিকার বিপক্ষে পরাজয়ের পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, আমার মনে হয় প্রথম ইনিংসে বোলিং করার জন্য উইকেট বেশ ভালো ছিল। তবে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। ব্যাটসম্যান দুষলেও বোলারদের প্রশংসা করেন রিয়াদ। তিনি বলেন, তাসকিন ভালো বল করেছে। তাকে মোস্তাফিজের বদলে দলে রাখা হয়েছে কারণ সে বেশ ছন্দে আছে। ভালো বোলিং করছে।

[আরও পড়ুন: বৃথা হুংকারে শেষরক্ষা হবে ডোমিঙ্গোর?]

এছাড়াও টানা চার ম্যাচ হার নিয়ে কথা বলেন টাইগার অধিনায়ক। বলেন, এভাবে চার ম্যাচ হেরে যাওয়া সত্যিই হতাশাজনক। আমরা অন্তত দু’টি ম্যাচ জিততে পারতাম। আর সেটি করতে পারল হয়তো গল্পটা অন্যরকম হতো।

এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে অল-আউট হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার রাবাদা ও নর্টিয়ের বোলিং তোপে এক একে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং দল। লিটনের ধীরগতির ২৪ রান ও শেষ দিকে মেহেদির ২৫ বলে ২৭ রানের সুবাদে টেনে টুনে ৮৪ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ ভারতের কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫.৪ ওভারে ৭০ রানেই অল-আউট হয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাবাদা ও নর্টিয়ে তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়াও শামসি ২ উইকেট ও প্রিটোরিয়াস তুলে নেন একটি উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন তুলে নেন রিজা হেনড্রিক্সের উইকেট। আউটসাইড অফের বল রেজার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ারও সাথে সাথে আঙ্গুল তুলে জানিয়ে দিলেন আউট।

তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন রাসি ভ্যান ডার ডাসেন। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ডি কক রাসিকে সাথে নিয়ে খেলছিলেন দেখেশুনেই। পাওয়ার-প্লের পঞ্চম ওভারে বল করতে আসেন মেহেদি। তার প্রথম বলে কোনো রান না হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুই চার হাঁকান ডি কক। তবে কামব্যাক করেন মেহেদি। পঞ্চম বলে মেহেদির ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে যায় ডি কক। পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে আবারও আঘাত হানেন তাসকিন। তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মার্করাম।

পরবর্তীতে অধিনায়ক বাভুমা ও রাসির পার্টনারশিপে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় সাউথ আফ্রিকার। তবে শেষদিকে জয়ের জন্য ৪ রান বাকি থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রাসি। নাসুমের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন শরিফুল। তবে রাসি ফিরে গেলেও মিলারের বাউন্ডারিতে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ছয় ওভার তিন বল বাকি থাকতেই জিতে যায় তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply