মোকিম ও ঝড়ু নামে দুই ফাঁসির আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির আগেই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে বলে যে দাবিটি আসামির আইনজীবী করেছিলেন সেই তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বিচারিক আদালত দিয়েছে। তারা জেল আপিল করেছিলো। সেই আপিলের শুনানির পর দণ্ডাদেশ বহাল ছিল। পরবর্তীতে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করেছিলো। কিন্তু সেটি নাকচ হয়ে যায়। এরপরই তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ মামলার প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল হয়নি। জেল আপিল যখন হয় তখন আইনজীবী থাকেন না। বিচারকরা কাগজপত্র দেখেন। নিষ্পত্তি করেন। যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেই তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) আসামির পরিবারের বরাত দিয়ে আইনজীবী দাবি করেন, ১৯৯৪ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার সাবেক এক ইউপি মেম্বার খুনের মামলায় ২০০৮ সালে মোকিম ও ঝরুসহ তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৩ সালে হাইকোর্টও মোকিম ও ঝরুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে তারা আপিল দায়ের করেন। এরপর ৮ বছর ঝুলে ছিল মামলাটি। গত ৩ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসলে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আপিল নিষ্পত্তির ৪ বছর আগেই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে।
Leave a reply