যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিকে চাপে রাখতে একের পর এক সমরাস্ত্র প্রদর্শনী চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। জাপান সাগরে চীনের সাথে মহড়ার পর আবারও সামরিক সক্ষমতা তুলে ধরলেন ভ্লাদিমির পুতিন। খবর দিলেন সর্বাধুনিক এক ক্ষেপণাস্ত্রের। ২০২২ সালের মধ্যেই রাশিয়ার নৌবহরে যুক্ত হবে জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল।
বুধবার (৪ নভেম্বর) সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এসব কথা জানান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
গত মাসেই সাবমেরিন থেকে জিরকন মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের খবর দিয়েছিল মস্কো। বুধবার সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের সময় পুতিন জানান, হাইপারসনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় প্রস্তুত। আগামী বছরই যুক্ত হবে রুশ নৌবহরে। গত মাসে স্থলভাগ, সমুদ্রপৃষ্ঠ আর সাগরের নিচের টার্গেটে সফলভাবে আঘাত হেনেছে তা। আগামী বছরই নৌবাহিনীর ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
রাডার ফাঁকি দিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়ে গতি কম হলেও, সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম এই মিসাইল।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি পরাশক্তিগুলোকে টেক্কা দিতে সমরাস্ত্রের আধুনিকায়ন জরুরি বলেই মনে করেন ভ্লাদিমির পুতিন। বলেন, এখন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, উচ্চ ক্ষমতার লেজার আর রোবোটিক সিস্টেম তৈরিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বিশেষ দরকার। যা শত্রুর হামলা ঠেকাতে পারবে। ভবিষ্যতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে এগুলো।
গত সেপ্টেম্বরেই নতুন হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অন্তত পাঁচটি দেশ কাজ করছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে।
Leave a reply