পরিবহন ধর্মঘটে নাজেহাল গোটা দেশ; বন্দরের স্থবিরতায় ক্ষতির আশঙ্কা

|

জ্বালানী তেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ঢাকা ধর্মঘটে গোটা দেশে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। যাত্রীরা যেমন যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, তেমনি পণ্য-পরিবহনেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথা।

ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের সড়কে নৈরাজ্য। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। পুলিশের চেকপোস্ট ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, কারখানায় যেতে না পারা পোশাক শ্রমিকরা এসময় বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর করে।

একই খবর জানা গেছে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। বিকল্প উপায়ে অনেকেই সিএনজি, মোটরসাইকেলযোগে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। এতে গুনতে হচ্ছে মূল ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি টাকা। অনেকে না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন, যাতে গাড়ির পেছনে বাড়তি খরচ করার মতো সামর্থ্য রয়ে যায়। এদিকে কাউকে কাউকে অ্যাম্বুলেন্সেও গন্তব্যে রওনা হতে দেখা গেছে।

রংপুরে পণ্যবাহী লরিগুলো নগরীর মূল রাস্তায় পার্ক করে রাখা হয়েছে। ফলে রাস্তা হয়ে পড়েছে সঙ্কুচিত। অন্যদিকে পণ্য খালাস না হওয়ায় রাস্তায় লরিতে থেকেই সেগুলো পচে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই চিত্র রাজশাহীতে। পণ্য ও দূরপাল্লার পরিবহনের ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগে সেখানকার মানুষ। এদিকে ঢাকার কমলাপুরে উপচে পড়া ভীড় যাত্রীদের। বাস না থাকায় ট্রেনেই ভরসা তাদের। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এদিকে পণ্য পরিবহনের চূড়ান্ত ঝক্কি পোহাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। সকাল থেকে, কোনো ধর‍ণের পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি বন্দরে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম হয়নি। আরও ১৫ হাজার কনটেইনার ধারণ করা যাবে। আগামি দু’দিন ধর্মঘট চললে বন্দরে পণ্যজট তৈরি হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমদানি ও রফতানিকারকরা। প্রভাব পড়বে পোশাকসহ শিল্পখাতে। দ্রত এই সংকট সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply