দক্ষিণ আফ্রিকার জয়েও ইংল্যান্ডের সাথে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া; বিফলে রাবাদার হ্যাটট্রিক

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের চলতি আসরে গ্রুপ ‘১’ এ নিজেদের খেলা চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে ও বড় রান রেট নিয়ে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। তাই মূল লড়াইটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। অস্ট্রেলিয়া রান রেটে কিছুটা এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচে প্রোটিয়াদের জিতেতে হতো বড় ব্যবধানে। ১৮৯ রান করে করে সেই সম্ভাবনা জাগিয়েও তুলেছিল টেম্বা বাভুমা বাহিনী। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতলেও ১৩১ রানের মধ্যে ইংলিশদের আটকে রাখতে না পারায় সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জস বাটলার ও জেসন রয়ের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল ইংল্যান্ড। রয় ও বাটলারের ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়াদের সেমির আশাও ফিকে হতে থাকে দ্রুতই। কিন্তু চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই রান নিতে গিয়ে বাঁ পায়ে চোট পান ১৫ বলে ২০ রান করা জেসন রয়। মাঠেই তার প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, আজ আর মাঠে নামা তার পক্ষে তো সম্ভবই না; এমনকি টুর্নামেন্টটাই শেষ হয়ে যেতে পারে এই ইংলিশ ওপেনারের। রয়ের বিদায়ের পর আক্রমণের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান জস বাটলার। ১৫ বলে ২৬ রান করা বাটলার বিদায় নেন আইনরিখ নকিয়ার হাফভলিকে মিড অফে টেম্বা বাভুমার হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর চায়নাম্যান তাবরাইজ শামসির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। তখন পর্যন্ত সেমিফাইনালে উঠতে ইংল্যান্ডকে ১৩১ রানে আটকে রাখার বাধ্যবাধকতা সম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু মঈন আলী ও ডেভিড মালানের জুটি সে আশায় জল ঢেলে দেয়। শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশদের ১৭৯ রানে আটকে রেখে ১০ রানের জয় তুলে নিলেও সেমির স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি বাভুমাদের।

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে ভ্যান ডসেনের ৯৪ এবং মার্করামের ৫২ রানে ভর করে ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা। রিজা হেনড্রিক্সকে দলীয় ১৫ রানের মাথায় বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে প্রত্যাশিত সূচনা এনে দেন মঈন আলী। ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে রানের গতি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ওপেনিং ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইংলিশ বোলারদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বজায় রেখে এ দুইজনের জুটিতে আসে ৫২ বলে ৭১ রান।

ব্যক্তিগত ৩৪ রানে আদিল রশিদের বলে ডি কক ফিরে গেলেও আরেকদিকে ঠিকই উইলোবাজি চালিয়ে যান ভ্যান ডাসেন। চারে নামা এইডেন মার্করামও বলের দ্বিগুণ হারে রান করেন। বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সাথে স্ট্রাইক রোটেট করায়ও ভ্যান ডাসেন ও মার্করাম দেখান দক্ষতা। ৫টি চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে চলতি আসরের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে ভ্যান ডাসেন অপরাজিত থাকেন ৬০ বলে ৯৪ রান করে। আর এইডেন মার্করাম শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। মাত্র ২৫ বলে ৫২ রানের এই ঝড়ো ইনিংসটি তিনি সাজান ২ চার ও ৪ ছয়ে। ভ্যান ডাসেন ও মার্করামের মারকুটে জুটিতে মাত্র ৫২ বলে আসে ১০৩ রান। আর এতেই জয়ের বিকল্প না থাকা ম্যাচে শক্তিশালী ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপের সামনে ১৯০ রানের টার্গেট দিয়েছে টেম্বা বাভুমার দল।

মঈন আলী ও ক্রিস জর্ডান বাদে ইংলিশ কোনো বোলারই থামাতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতি। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মঈন। ৪ ওভারে কোটা পূরণ করে ৩২ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নেন আদিল রশিদও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply