মানুষকে জিম্মি করা কর্মসূচি চলছে তৃতীয় দিনের মতো

|

তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। আর পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দেয়া সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার এই কর্মসূচিতে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।

গত দুইদিন শুক্র এ শনিবার হওয়ায় রাস্তায় অফিসগামী লোকজনের চাপ কম ছিল। যদিও বড় পরিসরে বেশ কয়েকটি ভর্তি ও চাকরির পরীক্ষা হয়েছে গত দুদিনে, এ ফলে জনভোগান্তির নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। তবে আজকে সকাল থেকেই রাস্তায় দেখা যাচ্ছে অফিসমুখী মানুষের ঢল।

বিআরটিসির কিছু বাস ছাড়া কোনো বাস চলতে দেখা না যাওয়ায় সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলের মতো ছোট ছোট যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বেশি ভাড়া। যাদের সে সামর্থ নেই, তারা হেঁটেই রওনা হয়েছেন গন্তব্যে।

সুযোগ বুঝে বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠছে সিএনজি অটোরিকশা ও অন্যান্য পরিবহনগুলোরে বিরুদ্ধে।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশের অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট কবে নাগাদ শেষ হবে, তা বলতে পারছেন না কেউই। সরকারের পক্ষ থেকেও পরিবহন মালিকদের সাথে কোনোরকম আলোচনার কথাও শোনা যায়নি। যদিও ধর্মঘট তুলে নিতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিন্তু পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, আলোচনা ছাড়া ধর্মঘট প্রত্যাহার করবে না তারা।

ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়া মানুষের প্রশ্ন, তাহলে কি চলতেই থাকবে এই ধর্মঘট? অবশ্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী রোববার বিআরটিএর ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠক হবে, তাতে ধর্মঘটকারীদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মূলত এই ঘোষণার ফলে ধর্মঘটের ঘোষণায় কোনো প্রভাবই পড়েনি।

অন্যদিকে, লঞ্চভাড়া শতভাগ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার দাবি তুলেছে লঞ্চ মালিক সমিতি। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা। জনভোগান্তিতে যা যুক্ত করেছে আরও এক মাত্রা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply