গাইবান্ধায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৮মামলা, আসামি ৫ শতাধিক

|

ফাইল ছবি।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় পৃথক ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ সব মামলায় পরাজিত চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী এবং তাদের কর্মী সমর্থকসহ ৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এ সব মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা এবং ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সদর থানায় ৮টি মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে ৬টি মামলার বাদি হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার। এ ছাড়া একটি মামলার বাদি গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ইদু। অপরটির বাদি লক্ষীপুর ইউনিয়নের নিহত নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ সরকারের বড় বোন মমতাজ বেগম।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে এসব তথ্য নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, সদর থানায় ৮টি মামলা দায়ের হলেও ইউপি সদস্য আবদুর রউফ হত্যা মামলাটি পারিবারিক ঘটনা। অপর একটি মামলা হয়েছে গিদারী ইউপির বিজয়ী চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, দলীয় ও ডিজিটাল কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায়। এ ছাড়া দক্ষিণ ধানঘড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিশামত মালিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রসহ ছয়টি কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহতসহ একাধিক অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা করেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার।

তিনি আরও জানান, প্রত্যেক মামলায় নামীয়সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয়সহ মোট আসামির সংখ্যা জানাতে রাজি হননি তিনি। এসব মামলা গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের পাশাপাশি জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় নামীয় দেড় শতাধিক এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাড়ে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এতে আসামি দেখানো হয় পরাজিত চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকদের।

প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে গত ১২ নভেম্বর রাতে লক্ষীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে আরিফ মিয়াসহ তার লোকজন।

এ ছাড়া ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ধানঘড়া ভোট কেন্দ্রে হামলা-সংঘষর্ষের সময় পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটের আঘাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর মারা যান বল্লমঝাড় ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের হামিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply