ফেরিঘাটে টোল আদায় করছে খেয়াঘাটের ইজারাদার! টোলঘর ভাঙলো ক্ষুব্ধ জনতা

|

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় সড়ক বিভাগের অধীন রায়েন্দা-বড়মাছুয়া ফেরিঘাট থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত এক খেয়াঘাট। সেই খেয়াঘাটের ইজারাদাররা ফেরিঘাটের ইজারা না নিয়েই টোল আদায় করছে ফেরিঘাটে! আর এর প্রতিবাদে আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বলেশ্বর নদীর রায়েন্দা পাড়ে বিক্ষোভ-মিছিল এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া পাড়ে ফেরিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। এসময়ে রায়েন্দা পাড়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী অবৈধ টোলঘর ভেঙ্গে দিয়েছে।

এর আগে মোংলা বন্দরের সাথে পায়রা বন্দরের ৭০ কিলোমিটার সড়ক পথ কমিয়ে আনতে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাগেরহাটের শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মধ্যে ফেরি পরিষেবা চালুর। সেই দাবির প্রেক্ষিতে শরণখোলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া প্রান্তে বলেশ্বর নদীর তিন কিলোমিটার চওড়া নৌপথে ফেরি চালু করে সড়ক বিভাগ। গত ১০ নভেম্বর পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি ডা. রুস্তুল আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন উদ্বোধন করেন এই পরিষেবা।

এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী খেয়াঘাটের ইজারাদার শুক্রবার থেকে রায়েন্দা ফেরিঘাটে টোলঘর নির্মাণ করে ও বেড়া দিয়ে গেট বানিয়ে টোল আদায় শুরু করেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে রায়েন্দা ঘাটপাড়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে বেড়া ও টোলঘর ভেঙে দেয়।

মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ইউপি সদস্য মো. কাইয়ুম হোসেন, স্কুল শিক্ষক আলী হায়দার সোহেল, শরণখোলা উপজেলা তাতীলীগের নেতা শাহিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে সড়ক বিভাগের ফেরিঘাটে টোল আদায় জনসাধারণের সাথে চরম অন্যায় করা হচ্ছে। শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, এ ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত সাংবাদিকদের বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন থেকে খেয়াঘাটের ইজারাদার ফেরিঘাটে গিয়ে টোল আদায় করতে পারবে না।

খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. সালাম হাওলাদার বলেন, ফেরি চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের লোকসান হলে টাকা ফেরৎ চেয়ে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী টোল আদায় শুরু করেছিলাম। আজ প্রশাসন তা বন্ধ করে দিয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply