ভবিষ্যতে যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে প্রতিদিন ইসরায়েলে তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানবে। সেই যুদ্ধ মোকাবেলার জন্য ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
তাসনিম নিউজের প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের যুদ্ধ মোকাবেলার জন্য ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত নয় বলেও ওই জেনারেল মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইজহাক ব্রিকের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
জেনারেল ব্রিক বলেন, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হবে সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকে তৎপর ইরানপন্থী গেরিলা গোষ্ঠীগুলোর হামলা। পাশাপাশি থাকবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তৎপর হামাস। এসব গোষ্ঠী ইসরায়েল অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাবে এবং গড়ে প্রতিদিন ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে।
এর আগেও জেনারেল ব্রিক কয়েকবার সতর্ক করে বলেছেন, বহু ফ্রন্টে একসঙ্গে লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই ইসরায়েলি বাহিনী।
গত মাসে জেনারেল ইজহাক ব্রিক সুস্পষ্ট করে বলেছিলেন, বাস্তবতা হচ্ছে— দিন দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা কমছে যা উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।
জেনারেল ব্রিক আরও বলেন, নতুন একটি যুদ্ধ আমাদের বহু বছর পিছিয়ে দেবে। আগের যুদ্ধগুলোতে আমরা যে ধরনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি, ভবিষ্যতের যুদ্ধে তুলনায় তা কিছুই না।
আরও পড়ুন- এক দশকের ‘ভুলবশত’ মার্কিন হামলায় নিহত ১৩শর বেশি বেসামরিক
ইসরাইল এবং গাজাভিত্তিক হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের ১১ দিনের যুদ্ধের অবসানের পর তিনি বলেছিলেন, যে কোনো যুদ্ধে বিমানবাহিনী ইসরায়েলের জন্য বিজয়ীর ভূমিকা রাখবে বলে যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল তা ধ্বংস হয়ে গেছে।
১১ দিনব্যাপী ওই যুদ্ধে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইসরায়েল অভিমুখে চার হাজার রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।
Leave a reply