নারী নাকি পুরুষ: ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডির লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে চলছে বিতর্ক

|

প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ ও ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট মাখোঁ।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ও দেশটির ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট মাখোঁ’র লিঙ্গপরিচয় নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। মাখোঁ বিরোধী নেটিজেনরা অনেকেই বলছেন যে, ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট মাখোঁ (৬৮) আসলে একজন ট্রান্সজেন্ডার। এ নিয়ে দেশটিতে এখন চলছে তুমুল বিতর্ক। ফ্রান্সের সরকার জানিয়েছে, ফার্স্ট লেডির বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা প্রচারকারীদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর বিবিসির।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে দেশটির উগ্র ডানপন্থীদের একটি ওয়েবসাইটে সর্ব প্রথম ব্রিজিটের লিঙ্গপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গুজব রটে যে, ব্রিজিট একজন ট্রান্সজেন্ডার। জন্মের সময় পুরুষ হিসেবে জন্মেছিলেন তিনি। জন্মের সময় তার নাম ছিল জেন মিশেল ত্রোগনোক্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উগ্র ডানপন্থী একটি অনলাইন জার্নালে নাতাশা রে নামক এক অ্যাকটিভিস্ট সর্বপ্রথম ব্রিজিটের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে একটি লেখা প্রকাশ করেন, যা পরে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রিজিটের আইনজীবী জেন অ্যানোচি এএফপিকে বলেছেন, ইম্যানুয়েল মাখোঁর বিরোধীরা বিশেষত উগ্র ডানপন্থী, করোনা টিকাবিরোধী এবং কনস্পিরেসি থিওরিতে বিশ্বাসী লোকেরা ফার্স্ট লেডির বিরূদ্ধে এ গুজব ছড়িয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফার্স্ট লেডি।

তবে এবারই প্রথম না, এর আগেও স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রলড হয়েছিলেন ব্রিজিট। স্বামীর চেয়ে বয়সে প্রায় ২৫ বছরের বড় হওয়ায় ব্রিজিটকে নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন ফ্রান্সের নেটিজেনরা।

উল্লেখ্য, ৬৮ বছর বয়েসী ব্রিজিট পেশায় একজন শিক্ষক। হাইস্কুলে তিনি ইম্যানুয়েল মাখোঁর শিক্ষক ছিলেন। আর ব্রিজিটের মেয়ে লরেন্স হাইস্কুলে ইম্যানুয়েল মাখোঁর সহপাঠী ছিলেন। পরে ব্রিজিটের প্রেমে পড়েন মাখোঁ। ২০০৬ সালে ব্রিজিট তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২০০৭ সালে বিয়ে করেন মাখোঁকে। ২০১৭ সালে মাখোঁ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে দেশটির ফার্স্ট লেডির পদ অলঙ্কৃত করেন ব্রিজিট।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply