কোহলির অধিনায়কত্ব বাদ, সমালোচনার তীরে বিদ্ধ সৌরভ গাঙ্গুলি

|

একদিনের ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব হারানোয় ভিরাট কোহলির সঙ্গে বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলির সম্পর্ক অবনতির দিকে। আর তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কারের পর এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকার।

সাবেক এই ব্যাটারের মতে, নির্বাচক কমিটির হয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই সৌরভ গাঙ্গুলির। তিনি ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি। দল নির্বাচন বা অধিনায়কত্বের কোনো প্রসঙ্গে কথা বলা উচিত না তার। এই অধিকার স্রেফ নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মার রয়েছে। ব্যাপারটা হলো, অধিনায়ক নির্বাচন করা বা সরিয়ে দেয়া নির্বাচক কমিটির দায়িত্ব। এটা সৌরভ গাঙ্গুলির দায়িত্বের আওতায় পড়ে না।

প্রসঙ্গত, টি-টোয়েন্টি থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও ওয়ানডেতে দায়িত্বে থাকার আগ্রহী ছিলেন ভিরাট কোহলি।
কিন্তু দেশটির গণমাধ্যমের খবর, ওয়ানডে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে কোহলিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয় সৌরভের বোর্ড। ভিরাট কোহলি কোনো জবাব না দিলে ৪৯তম ঘণ্টায় তাকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিসিআই। আর পুরো বিষয়টিকে কোহলিকে বরখাস্ত করার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

তবে সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, কোহলির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিপরীতে কোহলির দাবি, তাকে কিছু না বলেই এমনটি করা হয়েছে। পরে আরেক অনুষ্ঠানে সৌরভ এও বলেছেন, কোহলির অ্যাটিচিউড আমার ভালো লাগে। তবে ও বড্ড ঝগড়া করে।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কীর্তি আজাদও। সৌরভকে যখন অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছিল, তখন জাতীয় দলের নির্বাচক ছিলেন কীর্তি। ওই সময় কী ঘটেছিল, সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেগ চ্যাপেল যখন কোচ ছিল এবং সৌরভকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন আমি ওর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। নিজের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কোহলির সঙ্গে ওর অনেক আগেই কথা বলা উচিত ছিল। তার মানে এটা বলছি না যে, ভিরাটের ব্যাপারটা আলাদা করে দেখতে হবে। কিন্তু কোনো সন্দেহ নেই, ও স্পেশাল ব্যাটার, স্পেশাল ক্রিকেটার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়।

ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসাও কীর্তির মনঃপূত হয়নি। ১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের এ সদস্য বলেন, কোহলির সঙ্গে এই সমস্যা আরও ভালোভাবে সামলানো উচিত ছিল। সৌরভের মতো একজন শীর্ষপদে থাকায় ক্রিকেটীয় ব্যাপারে আরও বেশি পেশাদারিত্ব দেখানো উচিত ছিল।

সৌরভের উদ্দেশে কীর্তি বলেন, বিষাণ বেদি, সুনীল গাভাস্কারকে কীভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল সেটা আমরা জানি। ভেঙ্কটরাঘবনের কথাই ধরুন। ও বিমানে ছিল। নামার পর শুনলো অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে ওকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সৌরভেরও উচিত ছিল নিজের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রাখা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply