কিশোরগঞ্জে খামারে খামারে মড়ক

|

কিশোরগঞ্জের খামারে খামারে লেগেছে মড়ক। বিশেষ করে লেয়ার মুরগি মরে সাবাড়। এরই মধ্যে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেক খামারি। ভাইরাসজনিত রোগে এমন মড়ক বলে ধারণা চিকিৎসকদের। মুরগিগুলো আক্রান্ত ছিল এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জায়, নমুনা দেখে এমনই মনে করছেন তারা। বিষয়টি জানা থাকলেও তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের এই খামারে কিছুদিন আগেও ছিল ৬২ হাজারেরও বেশি লেয়ার মুরগি। কিন্তু হঠাৎ লাগে মড়ক। একে একে মারা যেতে শুরু করে মুরগি। এক পর্যায়ে একেবারে ফাঁকাই হয়ে যায় খামার।

‘স্বপ্ন অ্যাগ্রো ফার্ম’ নামে খামারটি মুরগি লালন-পালন হতো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। ফার্মটি ছিল বায়ো সিকিউরিটি সম্পন্ন। তবুও হয়নি শেষ রক্ষা। মুরগি আক্রান্ত হতে শুরু করলে বিষয়টি জানানো হয় চিকিৎসককে। নেয়া হয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও। কিন্তু মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শেই সেগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

কুলিয়ারচরের ডুমরাকান্দার কবির হোসেনের খামারটিতেও নিশ্চিত করা ছিল জৈব সুরক্ষা। কিন্তু সেখানেও রক্ষা করা যায়নি কোনো মুরগি। খামারিরা বলছেন, শুধু বাজিতপুর আর কুলিয়ারচরেই মারা গেছে দুই লাখেরও বেশি মুরগি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আল মামুন নমুনা পরীক্ষা ধারণা করছেন, এটি অতিসংক্রামক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু হতে পারে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগেরও নজরে এসেছে বিষয়টি। কোনো খামারে অস্বাভাবিকহারে মুরগি মারা গেলে দ্রুত তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলছেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম।

নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন খামারে মুরগি মারা যেতে শুরু করে। তবে কিশোরগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত কত মুরগি মারা গেছে, তার সঠিক কোনো হিসাব নেই প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে।

আরও পড়ুন : কিশোরগঞ্জে হঠাৎ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply