লাভলী বিথী:
চাইলেই কানাডায় বিলাসী জীবনযাপন করতে পারতেন। সুযোগ ছিল উচ্চ ক্যারিয়ারের। কিন্তু সব ছেড়ে মানুষের জন্য কিছু করার তাড়না আর এদেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে থেকে গেছেন। ১৭ বছর ধরে কোনো প্রচারণা না করে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিন্নমূল শিশুদের বিনামূল্যে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কানাডার নাগরিক নীলা-আকাশ দম্পতি।
প্রায় দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশে নিভৃতে কাজ করে চলেছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিন্নমূল শিশুদের জন্য। নিত্যদিনের বেশিরভাগ সময়ই কাটে এসব মানুষের সেবা করেই। বাঙালি পোশাক জড়ানো সোনালিকেশী এই নারীর নাম ইনগ্রিড মিলার। এখন তিনি সবার কাছে নীলা আপা। কানাডার নাগরিক। পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। গাঁটছড়া বাধা পর স্বামীর চাকরির সুবাদে বাংলাদেশকেই বেছে নেন কাজের ক্ষেত্র হিসেবে।
কানাডার মত এতো এতো সুযোগ-সুবিধার দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে কেন? ছোটবেলা থেকেই ভাবনায় ছিল নিজের চেয়ে কম সুবিধাপ্রাপ্তদের পাশে দাঁড়ানোর। বলেন, সবসময়ই মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। প্রথম প্রথম সমস্যা হযেছিল। এখন মানুষ আমাকে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের খোঁজ দেয়।
বছরের পর বছর চিকিৎসা দেয়ায় অনেক শিশুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। নীলা জানান, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিন্নমূল শিশুদের জন্য অনেক কিছু করার আছে। এদেশের সংস্কৃতি আর মানুষের ভালোবাসাও আগলে রাখে তাকে। জানালেন, মানুষ খুব আন্তরিক, আপন করে নেয়।
মানুষের জন্য কিছু করার তাড়না যে কোনো গণ্ডিবাধা পড়ে না তার উদাহরণ এই নীলা-আকাশ দম্পতি।
/এডব্লিউ
Leave a reply