৫১ বছর পর পৌঁছালো বান্ধবীর চিঠি

|

রয়টার্সের ছবি।

লিথুয়ানিয়ায় পোস্ট অফিসের পুরানো ভবন মেরামত করার সময় পাওয়া যায় ৫১ বছরের পুরানো একটি চিঠি। পরে তা পৌঁছে দেয়া হয় প্রাপকের কাছে। তবে একটি নয়, খুঁজে পাওয়া গেছে এরকম পুরানো ১৭টি চিঠি। ধারণা করা হচ্ছে, পোস্ট অফিসেরই কোনো কর্মী অসৎ উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রেখেছিল চিঠিগুলো।

যে চিঠিটি প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছেছে, সেটি ১২ বছরের কিশোরী থাকা অবস্থায় লেখা হয়েছিল। আর পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৬০। পোল্যান্ড থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছিল লিথুয়ানিয়ায়। জেনোওয়েফা ক্লোনোভস্কা নামের এ নারীকে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন তার এক পত্রবন্ধু। সে বন্ধুর স্মৃতি মনে না থাকলেও এত বছর পর চিঠি পেয়ে আবেগ আপ্লুত এ নারী।

চিঠির প্রাপক জেনোওয়েফা ক্লোনোভস্কা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ আমার রসিকতা করছে। কিন্তু পোস্ট অফিস থেকে আমাকে কয়েকবার ফোন করলে আমি তাদের চিঠিটি আমার বর্তমান ঠিকানায় পাঠাতে বলি। কিন্তু তারা আমার সাথে দেখা করতে চায়। জানায়, চিঠিটি অনেক আগের এবং তারা এরকম বেশকিছু চিঠি খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু খুব কম চিঠির প্রাপকই বর্তমানে বেঁচে আছে।

খুঁজে পাওয়া চিঠিগুলো ৬০ ও ৭০ দশকে পাঠানো হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পোস্ট অফিসেরই কোনো কর্মী মূল্যবান কিছু খুঁজতে গিয়ে বিদেশ থেকে আসা এসব চিঠি লুকিয়ে রেখেছিল।

এখন পর্যন্ত পাঁচজনের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে চিঠি। কয়েকজন প্রাপক বেঁচে না থাকায় তাদের আত্মীয়ের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় চিঠিগুলো। লিথুনিয়ার পোস্ট অফিস কর্মকর্তা দেইমান্তে জেব্রাউস্কাইতে বলেন, চিঠিগুলো পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন প্রাপকরা। একজন বলেছিল, এটি তার কাছে সমুদ্র থেকে একটি বোতল খুঁজে পাওয়ার মতো। আর যারা বেঁচে নেই তাদের সন্তানরাও চিঠি পেয়ে খুশি।

তৎকালীন লিথুয়ানিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, রাশিয়া থেকে লিথুয়ানিয়ায় থাকা আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের সাথে অনেকেই চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করতো।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply