গভীর সমুদ্রের সদ্ব্যবহারে বাংলাদেশের অংশীদার হতে চায় অস্ট্রেলিয়া

|

আহমেদ রেজার সাথে সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।

বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরসহ এই অঞ্চলের গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া। দেশটির হাইকমিশনার জানিয়েছেন, ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নে ঢাকাকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ভাবে ক্যানবেরা। করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে দেশটির ইচ্ছার কথাও জানান তিনি।

পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় অস্ট্রেলিয়া। বিজয়ের পরপরই ১৯৭২ এর ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় মিশন চালু করে তারা। এমনকি বাংলাদেশের একমাত্র বিদেশি বীরপ্রতীক উইলিয়াম ওডারল্যান্ডও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

মুক্তিযুদ্ধকালের বন্ধু অস্ট্রেলিয়ার সাথে সম্পর্কের ৫০ বছর পার করছে বাংলাদেশ। পরীক্ষিত এই সম্পর্ক কেবল উষ্ণ নয় দৃঢ়ও উল্লেখ করে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দৃশ্যমান, আর দুই দেশের আরও অনেক কাজের সুযোগ বিদ্যমান যা করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার আছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশের শক্তি দিন দিন বাড়ছে। ভারত মহাসাগরে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ছে। ঢাকায় দুই বছর কাটিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ, আরও বেশি সহযোগিতা, সংযোগ স্থাপন ও সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ আছে।

গত সেপ্টেম্বরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তি সই করেছে দেশদুটি। সেটিকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলছেন, বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের সদ্ব্যবহারে অংশীদার হতে চায় তার দেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্যের মান ভালো এবং এসব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের আগ্রহ বাড়ছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে সেখানকার বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আগ্রহ দেখেছি। টেক্সটাইল, অ্যাপারেলস, খনিজ সম্পদ, জ্বালানি, কৃষি, বাণিজ্য, মৎস্য ছাড়াও শিক্ষা এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধিতে তারা কাজ করতে চায় বলেও জানান এই হাইকমিশনার।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মত বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায়ও নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। তাই এ অঞ্চলে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে বলে মনে করে অস্ট্রেলিয়া। জেরেমি বলেন, আসিয়ান ও এই অঞ্চলের প্রবেশপথ বাংলাদেশ। এক দশকে অর্থনৈতিক খাতে অসামান্য উন্নয়ন করেছে দেশটি। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে এ যাত্রায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চাই আমরা। অর্থনৈতিক অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক গভীর করতে চায় অস্ট্রেলিয়া।

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় দুই দেশের চ্যালেঞ্জ থাকলেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত ও অর্থনীতি পুনুরুদ্ধারেও অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ একসাথে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply