ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা

|

এক ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেই আবারো জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হবে রাজধানীবাসীকে। তবে টানা ১০ দিন টিপ টিপ বৃষ্টি হলেও কোনো ভোগান্তি হবে না। আগামী বর্ষা মৌসুমে রাজধানীতে জলজট হওয়া না হওয়া নিয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নগরপরিকল্পনাবিদদের দৃষ্টিতে, এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছে ওয়াসা।

প্রশ্ন উঠেছে, ঢাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এই বক্তব্য কি কোনো আশ্বাসের ইঙ্গিত নাকি শঙ্কা? তবে একটি বিষয় পরিস্কার, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে আবারো গেলো বছরের এই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটবে রাজধানী ঢাকায়।

গেল বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ায় জলজট তৈরি হয় রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে মূল সড়কেও। বিগত বছরগুলোর রেকর্ড সম্পর্কে আবহাওয়া অফিসের বিশ্লেষণ, বর্ষায় এক ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাধারণত মাসে ২০০০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। একটানা ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত মাঝে মাঝেই হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের নৈমিত্তিক চিত্র

জলাবদ্ধতা হওয়া না হওয়ার পেছনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণকে কারণ হিসাবে দাঁড় করানোকে দায় এড়ানোর চেষ্টা বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সহসভাপতি অধ্যাপক আক্তার মাহমুদ বলেন, রাজধানীতে কোনো পরিস্কার জলাধার দেখা যায় না। পরিকল্পনার তেমন কোনো বাস্তবায়ন ঘটেনি। আমাদের ধারণা গত বছরের মতোই বৃষ্টিপাত হবে। ৪০-৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।

ঢাকা সম্পূর্ণভাবে জলজটমুক্ত করতে না পারার পেছনে কিছু যুক্তিও তুলে ধরেছে ওয়াসা। রাজধানীর আশেপাশের খাল-জলাশয়-নদী দখলমুক্ত করতে না পারাকেই দেখা হচ্ছে প্রধান কারণ হিসেবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, ঢাকায় জলাধার থাকা উচিত ছিল ১২ শতাংশ আছে ২ শতাংশ। পানি ধরে রাখার জন্য পুকুর বা জলাধারের সংখ্যা নেই বললেই চলে।

যমুনা অনলাইন: এসএইচ/টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply