১০ম দিনে জমজমাট অমর একুশে বই মেলা

|

গত বছর লকডাউন ও করোনা আতঙ্কে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিল মেলা। তবে এ বছর সবাই বলছেন বর্তমান অবস্থা অনেকটাই ভাল। কার্যদিবসেও স্টলে স্টলে মানুষের ভিড়, সরকারি ছুটির দিনগুলোয় যা বহুগুণে বাড়ছে। গত বছরের মেলা নিয়ে অনেকের মধ্যে উৎসাহ না থাকলেও এ বছর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।

এ বছরের মেলার চিত্র গত বছরের তুলনায় অনেকটাই ব্যতিক্রম। শুরু থেকেই জমজমাট হতে শুরু করেছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখক-পাঠক-প্রকাশক সবার মাঝেই বিরাজ করছে সন্তোষ। প্রতিদিনই থাকছে যথেষ্ট জনসমাগম, ছুটির দিনে তা বাড়ছে বহুগুণে। সেই সাথে বই প্রকাশের পাশাপাশি বাড়ছে পাঠকদের আগ্রহ।

প্রকাশকরাও এবার আগের চেয়ে সন্তুষ্ট। বই প্রকাশিত হচ্ছে গত বছরের চেয়ে অধিক হারে। পাঠকদের চাহিদার শীর্ষে আছে থ্রিলার, হরর ও সামাজিক উপন্যাস।

প্রতীক প্রকাশনীর প্রকাশক নূর-এ-মুনতাকিম আলমগীর বলেন, গত বছর তো করোনার জন্য মেলা তেমন জমেনি, কিন্তু এবার ভিড়ভাট্টা মোটামুটি ভালই। থ্রিলার, সামাজিক উপন্যাস, প্রেমের উপন্যাস, হরর প্রভৃতি ঘরানার বইগুলো এবার একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে।

মেলা শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে স্টলগুলোয় ভিড় কমে গেলেও আবহমান কাল ধরে এ দৃশ্যের ব্যতিক্রম দেখা যায় সেবা প্রকাশনীর স্টলে। শাহাবুদ্দিন রাসেল পেশায় ব্যবসায়ী। সেবার বইয়ের সাথে পরিচয় ছোট থাকতেই। এবার মেয়েকে প্রথমবার নিয়ে এলেন মেলায়, সেবার স্টলে। তিনি বললেন, এবার প্রথমবার মেয়েকে নিয়ে আসলাম সেবার স্টলে।

বইমেলায় আসা শওকত হোসেন পেশায় একজন কেমিকেল বায়োলজিস্ট। মেয়েদের পছন্দসই বই দিতে তিনিও সেবার স্টলে। বলেন, আমি বাচ্চাদের নিয়ে আসলাম, ওদের দেখালাম যে এই ধরনের বইগুলো আমরা আমাদের শৈশবে পড়তাম। আর ওরা তো ভবিষ্যত প্রজন্ম, ওরাও হয়তো পড়বে। তাই নিয়ে আসা।

কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর এটিই সেবার মেলায় প্রথম অংশগ্রহণ। তার মৃত্যু কি কোন প্রভাব ফেলেছে সেবার পাঠকপ্রিয়তায়? এমন প্রশ্নের জবাবে সেবা প্রকাশনীর ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম বলেন, পাঠকপ্রিয়তায় কোনো ঘাটতি হয় নাই। উপরন্তু আরও অনেক নতুন নতুন মানূষ আসছে।

সামনের দিনগুলোয় বইমেলার আয়োজনে লোক সমাগম আরও বাড়বে, এমনটাই প্রত্যাশা বইপ্রেমীদের।




/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply