শুরু হলো ১৬তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব, ঢাকা ২০২২। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত এ উৎসব চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। উৎসবে ১৩০টি দেশ থেকে বাছাইকৃত ৪১৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
‘মুক্ত চলচ্চিত্র, মুক্ত প্রকাশ’ স্লোগানে শুরু হলো উৎসবটির। এবারের উৎসবে বাংলাদেশসহ ১৩০টি দেশের ৪১৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। কান, সানড্যান্স, বার্লিন, বুসানের মতো মর্যাদাপূর্ণ উৎসবে প্রদর্শিত ও অস্কার দৌড়ে অবতীর্ণ ৬০টিরও বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবার।
উৎসবে আরও থাকছে বাংলাদেশ প্যানোরামা, আলমগীর কবির মেমোরিয়াল লেকচার, জাতীয় চলচ্চিত্র সংলাপ, আজীবন সম্মাননা, ভারতীয় চলচ্চিত্রকার আর ভি রামানির ওপর রেট্রোস্পেকটিভ ও মাস্টারক্লাস, সেমিনার, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র অধিবেশন। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
৭টি ভেন্যুতে চলছে প্রদর্শনী। উৎসবের মূল ভেন্যু শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তন ও চিত্রশালা মিলনায়তন। প্রতিদিন বেলা ১১টা, ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টায় মোট ৪টি করে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এছাড়া জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভেও হবে প্রদর্শনী।
উৎসব পরিচালক সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানী জানালেন, প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবে প্রদর্শিত শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোকে তিনটি পুরস্কার দেয়া হবে। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখায় হীরালাল সেন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হবে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল ও মানজারে হাসীন মুরাদকে। এছাড়া সমাপনী দিনে দেয়া হবে ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন শর্ট ফিকশন, ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন শর্ট ডকুমেন্টারি, তারেক শাহরিয়ার বেস্ট ইনডিপেনডেন্ট শর্ট পুরস্কার। বঙ্গবন্ধু এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে এবারের উৎসব।
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব করে। ৩৪ বছর ধরে এই চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারের উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দীন ইউসুফ, উৎসব পরিচালক সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানী।
সিনেমার এই দুর্দিনে এমন একটি উৎসব আশা জাগানিয়া, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। হয়তো এখান থেকেই আবারও দর্শকদের আগ্রহ বাড়বে, ফিরবে চলচ্চিত্রের সেই সুদিন।
/এডব্লিউ
Leave a reply