নতুন নির্বাচন কমিশন: যত প্রত্যাশা

|

রাজনৈতিক দলগুলো হাড্ডাহাড্ডি অংশগ্রহণে ভোটের মাঠ গরম করে তুলবে, এমনটা প্রত্যাশা নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের। নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড করে দেবে কমিশন।

নতুন কমিশনের কছে নির্বাচন বোদ্ধাদেরও পরামর্শ, এমন কিছু করা চাই, যাতে স্বতস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপিসহ নির্বাচনের বাইরে থাকা দলগুলো। বিশ্লেষকদের মতে, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রচলিত চর্চার বাইরে কাজ করতে হবে কমিশনকে। ঠিকঠাক করতে হবে ইভিএমের নানা ত্রুটি।

নতুন সিইসির মতে, ইতোপূর্বে হওয়া স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এমন নির্বাচন নয়, নতুন সিইসি চান আসছে ভোটগুলো হবে উৎসবমূখর। যেখানে পালকিতে করেও ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে দলগুলো। এজন্য ভোটের মাঠে বিএনপিসহ দলগুলোকে সক্রিয় অবস্থানে চান তিনি।

ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি বিএনপি, সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাবও এড়িয়ে গেছে দলটি। কি করে হবে নতুন সিইসির লক্ষ্যপূরণ? এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে যায়নি বিএনপি, নির্বাচন কমিশনের দাওয়াতে যাবে তা তো আশা করতে পারি না। এজন্য আরও বৃহত্তর রাজনৈতিক সমঝোতার দরকার আছে। সেটার জন্য আড়ালে থেকেও ইসি যদি কিছু করে, মোস্ট ওয়েলকাম।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে সিইসি সাফ জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকার তার মাথাব্যথা নয়, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিজ দ্বায়িত্বে থাকবেন অবিচল-অনঢ়। নিবন্ধিত সব দলকে সমান গুরুত্ব দিতে প্রস্তুত এই কমিশন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগের ব্যবস্থা করাই হবে আমাদের কাজ।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শপথগ্রহণ শেষে সোমবার কমিশন ভবনে শুরু হবে নতুন নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে এই কমিশনের বড় পরীক্ষা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply