রোহিঙ্গা অভিবাসনের নিরাপত্তা ঝুঁকি টের পাচ্ছে ভারতও

|

গেটি ইমেজ।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের রাজনৈতিক পরিসরেও। আর বাংলাদেশ এই সমস্যাটিকে দেখছে পুরো অঞ্চলের জন্য ঝুঁকি হিসেবে। ভারতের সিমলায় দুই দেশের সদ্যসমাপ্ত মৈত্রী সংলাপে এভাবেই উঠে আসে রোহিঙ্গা সংকট। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইস্যুটির আঞ্চলিক ঝুঁকি বিবেচনায় নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়। জবাবে সংলাপে অংশগ্রহণকারী ভারতের প্রতিনিধিরা জানান, বছরের পর বছর রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার সুযোগ নেই।

হিমাচলের সিমলায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপে অবধারিতভাবেই উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যু। এই ইস্যুটিকে আঞ্চলিক সংকট হিসেবে বিবেচনার জন্য ঐক্যমত্যের তাগিদ দেন সংলাপে অংশ নেয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, এটিকে সত্যিকার অর্থে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনার জন্য আমাদের একমত হতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা জানি যে বিষয়টি জটিল এবং নানা ভূরাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ আছে। কিন্তু আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতকে আমরা বিষয়টি নিয়ে আমাদের পাশে চাই।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে ইস্যুটিকে রাখাইন সমস্যা বলে অভিহিত করলেও এই সংলাপে প্রথমবারের মতো ভারতের প্রতিনিধিরা সরাসরি একে রোহিঙ্গা সংকট বলে উল্লেখ করেন। তারা বলছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতও এই সংকটকে ঝুঁকি হিসেবে দেখছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেন, প্রথমেই আমাদের একসাথে যেটা করতে হবে, তা হলো, মিয়ানমার থেকে যাতে আর একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ কিংবা ভারতে না আসে। এটা আমাদের দুদেশের জন্যই চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে আমাদের মিয়ানমারের ওপর আরও শক্ত চাপ তৈরি করতে হবে তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে। কারণ তারা সেখানকারই মানুষ। বছরের পর বছর এভাবে চলতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে মতবিনিময়কালে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গাদের যে চাপ বাংলাদেশ সামলাচ্ছে, যেভাবে সামলাচ্ছে তা সবাই অবগত। বিষয়টি বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে সংকট সমাধানে আমাদেরও সমান তাগিদ রয়েছে, মন্তব্য করেন তিনি।

পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আরও দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর কথা জানানো হয় ভারতের পক্ষ থেকে। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যখনই কথা হয়েছে আমরা এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য বলেছি। বাংলাদেশের সঙ্গেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা কাজ করছি। এসব ক্ষেত্রে সব কাজ দৃশ্যমান করা যায় না। কিন্তু শুধু এটুকু বলা যায়, বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েই কাজ চলছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply