‘চোখ বাঁধা হয়নি, ভুল বোঝাবুঝি ছিল’

|

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন নেতাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবি। মঙ্গলবার সকালে মিন্টু রোডে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেন এ দাবি করেন যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি।

আবদুল বাতেন বলেন, আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করছি আমরা। এজন্য একাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হচ্ছে। যেহেতু হামলাকারীদের আমরা সরাসরি চিনি না, তাদের চেনার সহযোগিতার জন্য একাধিকবার ছাত্রদের এখানে ডেকে আনা হয়েছে। তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও মামলা তদন্তে সহায়তার জন্য তাদের ডেকে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর দুই ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলনকারী তিন নেতাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের চোখ বেধে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এই খবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এক ঘণ্টার মধ্যে তিন নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফিরে আসা ৩ ছাত্রই সাংবাদিকদের জানান, তাদের গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এই ছাত্র নেতারা হলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র নুরুল হক, এমবিএর (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ) ছাত্র রাশেদ খান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ফারুক হাসান।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply