কেন রুশভাষী শহরটিতে মিসাইল ছুঁড়লো মস্কো?

|

খারকিভের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া রাশিয়া। বুধবার (২ মার্চ) ভোরে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিতে অবতরণ করে রুশ প্যারাট্রুপার। একদিন আগেই আবাসিক এলাকায় ছোঁড়া শক্তিশালী মিসাইলের আঘাতে শিশুসহ হতাহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন। ভয়াবহ লড়াইয়ে প্রাণ গেছে ৭০ সেনারও। এরই মধ্যে কেন রুশভাষী শহরটিতে আগ্রাসন চালালো মস্কো সেটা নিয়ে চলছে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড়।

স্থানীয়রা বলছে, রাশিয়ার বিমান অভিযানে সবাই আতঙ্কিত। আমরা তো রুশ ভাষায় কথা বলি, তাহলে কেনো হামলার লক্ষ্যবস্তু আমরা। তারা জানায়, বিস্ফোরণে জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। যারা কাছাকাছি ছিলেন, সবাই গুরুতর আহত হয়েছে। কোনো রকমে, বেজমেন্টের দিকে দৌড় দেই। তখনই পড়ে দ্বিতীয় মিসাইলটি।

শহরটির মেয়র ওলেগ সিনেগুবভ বলেন, শত্রুপক্ষ খারকিভের কেন্দ্রস্থল আর আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মাল্টিপল রকেট লঞ্চার আর ক্রুজ মিসাইল ছিল তাদের হাতিয়ার। কিন্তু আমরা সহজে হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নই। সেনাদের সাথে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে শহরবাসী গড়ে তুলেছে প্রতিরোধ। ইউক্রেনের বিজয় আসবেই।

জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ইয়েভেন ভ্যাসিলেনকো, রুশ বিমান অভিযানে আঞ্চলিক প্রশাসনিক ভবন এবং চারপাশের আবাসিক স্থাপনাগুলো পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন। মরদেহ পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের মর্গে। বাকিদের জীবিত উদ্ধারই মূল চ্যালেঞ্জ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ৮টি ইউনিটে কাজ করছেন শতাধিক সদস্য।

এদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ ঘটনায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিনা বায়েরবক বলেন, রাশিয়া বলেছিল, আত্মরক্ষায় সীমান্তে সেনা মোতায়েন রাখা হয়েছে। কিন্তু আগ্রাসন-অভিযানের জন্যেই ছিল তোড়জোড়। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রুশ ভাষাভাষীদের আঁচড়ও কাটবে না। অথচ গোটা বিশ্ব দেখলো খারকিভের কী দশা করেছে রুশ সেনাবহর। বলা হয়েছিল ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠাবে রাশিয়া। অথচ তাদের ট্যাংক শুধু মৃতদেহ আর ধ্বংসলীলার সাক্ষী।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply