অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের উদ্যোগ আবার

|

চোরাই মোবাইল ফোন বাজারজাত বন্ধের জন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার বা এনইআইআর প্রকল্প আবার সচল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠন করা হচ্ছে স্টিয়ারিং কমিটি।

কমিটির জন্য এরই মধ্যে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বেশ কয়েকজনের নামও প্রস্তাব করেছে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাছে থাকা বৈধ মোবাইল ফোন সহজে নিবন্ধন করার প্রক্রিয়াগত সমাধানও দেবেন।

চোরাইপথে আসা মোবাইল সেটের বাজারজাত বন্ধ করতে গত বছর উদ্যোগ নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে এনইআইআর প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। আইএমইআই ডাটাবেইজ তৈরি, গ্রাহকের কেনা কিংবা হাতে থাকা বৈধ সেট নিবন্ধনের কাজও শুরু করে নিয়ন্ত্রংক সংস্থাটি। নিবন্ধনের বাইরে থাকা হ্যান্ডসেট বন্ধের ঘোষণাও দেয়া হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের বহন করা বৈধ সেট নিবন্ধন নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা।

ফলশ্রুতিতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার, এনইআইআর প্রকল্পের মাধ্যমে অবৈধ সেট বন্ধের পুরো প্রক্রিয়াই ভেস্তে যায়। অনেকটা বাধ্য হয়েই বৈধ-অবৈধ কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ না করার ঘোষণা দেয় সরকার।

মোবাইল ফোন আমদানীকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএর তথ্য বলছে, বাজারে অবৈধ হ্যান্ডসেট বাজারজাতকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে ‌আবার এসব সেট বন্ধ করতে চায় সরকার।

তবে এবার বিদেশ থেকে আসাদের হ্যান্ডসেট সহজ পদ্ধতিতে নিবন্ধনের উদ্যোগ রাখার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠন করা হচ্ছে স্টিয়ারিং কমিটি। বিটিআরসির আহ্বানে এরই মধ্যে কমিটির জন্য টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের নাম জমা দিয়েছে স্থানীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরা। এনইআইর প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকা অর্থায়ন করে হ্যান্ডসেট শিল্পের বিনিয়োগকারীরা। প্রকল্পটিকে শতভাগ কার্যকর করতে সমন্বিত উদ্যোগ চান তারাও।

দেশে প্রতিবছর সাড়ে তিন কোটি হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়। ৬০ শতাংশের বেশি পূরণ করছে স্থানীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, আর ৩০ শতাংশের বেশি আসে চোরাইপথে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply