ছবি: সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার মাটিতে শেষবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন কিনা লিওনেল মেসি, সেতা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এ প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন এই ফুটবল সুপারস্টারের উত্তরে যেন তা আরও ঘোলাটে হয়েছে। দুর্দান্ত জয়ে দেশের জার্সিতে অপরাজিত থাকার রেকর্ডকে আরও সুসংহত করার পর মেসি শে ম্যাচ খেলা প্রসঙ্গে বলেন, আমি জানি না, আমি সত্যিই জানি না।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাতিন অঞ্চলের নিয়মরক্ষার ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলাকে এদিন ৩-০ গোলে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। নিয়মরক্ষার জন্য হলেও এই ম্যাচের বাড়তি আলো ছিল লিওনেল মেসিকে ঘিরে। একদিন আগেই কোচের ঘোষণা ছিল, ঘরের মাঠে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন হয়তো মেসি। অবশ্য এখনই নয়, বরং বিশ্বকাপের পর গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত দেবেন বলেই আভাস দিয়েছেন লিওনেল মেসি।
বুয়েন্স আয়ার্সের এই ম্যাচের গুরুত্ব ছিল না কোনো দলের কাছেই। শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছাড়া তেমন কোনো মর্যাদা ছিল না বাছাইপর্বের খেলাটির। কিন্তু লিওনেল মেসি যখন মাঠে নামবেন তখন তো বাড়তি গুরুত্ব পাবেই। আগের দিনই আলবিসেলেস্তেদের কোচ লিওনেল স্কালোনি আভাস দিয়েছিলেন যে, ঘরের মাঠে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন লিও। এমন ঘোষণার পর লা বোম্বোনেরায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচ দেখতে বাড়তি আগ্রহ ছিল মেসি ভক্তদের।

অসুস্থতার কারণে পিএসজির সাথে সবশেষ ম্যাচটি খেলা হয়নি মেসির। এদিন মাঠে ফিরেই দেখিয়েছেন নিজের ঝলক। গোটা ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষকে পাত্তাই দেয়নি মেসি-ডি পলরা। ৩৫ মিনিটেই রদ্রিগো ডি পলের ক্রস থেকে দলকে লিড এনে দেন নিকোলাস গঞ্জালেস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে আলবিসেলেস্তেরা। যদিও একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না মেসি নিজে। এরই ফাঁকে ৭৯ মিনিটে স্কোর শিটে নাম তোলেন বদলি হিসেবে নামা আনহেল ডি মারিয়া।
আর ঠিক মিনিট তিনেক পর কাঙ্খিত গোলের দেখা পান এলএমটেন। ডি মারিয়ার ক্রস ফাঁকায় পেয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানাতে কোনো সমস্যাই হয়নি তার। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে গোল করে তা স্মরণীয় করে রাখলেন কিনা সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার, তা নিয়ে ভাবার অবকাশও তাই পেয়ে যান ফুটবলামোদীরা। ম্যাচ শেষে অবশ্য এ বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলতে পারেননি লিও। তবে বিশ্বকাপের পর বিশেষ ঘোষণা আসছে বলে জানান তিনি।
লিওনেল মেসি বলেন, আমি জানি না, আমি সত্যি জানি না। আমি শুধু সামনে কী আছে তা নিয়ে ভাবি। এখন সামনের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর, তা নিয়েই ভাবছি। এরপর জুন ও সেপ্টেম্বরে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। তবে বিশ্বকাপের পর আমি নতুনভাবে ভেবে কিছু সিদ্ধান্ত জানাবো। হতে পারে সেটা ভালো বা খারাপ। বিশ্বকাপের পর অনেক কিছুই পাল্টে যাবে।
মাঠে উপস্থিত অনেকেই ধরে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার মাটিতে এটিই মেসির শেষ প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচ। তাই ম্যাচ শেষে এই কিংবদন্তিকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাতে ভুল করেননি দর্শকরা।
আরও পড়ুন: দেশের ফুটবলে ম্যাচ পাতাতে হোটেলের কর্মচারীকে ভুয়া গোলরক্ষক সাজার প্রস্তাব!
এম ই/
Leave a reply