ন্যাটো বহরের ট্যাংক আর যুদ্ধবিমানের মাত্র এক শতাংশ দরকার ইউক্রেনের। তা নিয়েও চলছে গড়িমসি। এমন অভিযোগ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কির। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, শটগান, মেশিনগান দিয়ে রাশিয়ার মিসাইল প্রতিহত করা সম্ভব নয়। এখানে সেগুলোই প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয়েছে।
যথেষ্ট অস্ত্র সহায়তা না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনাও করেন তিনি। তিনি বলেন, ইউক্রেনের এখন দরকার যুদ্ধবিমান, ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যা আমাদের মিত্রদের কাছে আছে। তাদের অস্ত্রভান্ডারের খুব সামান্যই যথেষ্ট আমাদের জন্য। অথচ হামলার ৩১ দিন পার হয়ে গেলেও তা দিচ্ছে না তারা। তিনি বলেন, কেবল ইউক্রেনই কিন্তু নয়, রাশিয়ার আগ্রাসনে ঝুঁকিতে বাল্টিক দেশগুলোসহ গোটা অঞ্চল।
এদিকে রুশ আক্রমণ ক্রমাগত লাগামছাড়া হয়ে উঠছে। তাদের আগ্রাসন থেকে বাদ যাচ্ছে না ইউক্রেনের হাসপাতালগুলোও। প্রায় প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে রুশ হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ৭০টির বেশি হামলা হয়েছে। যাতে প্রাণ গেছে প্রায় একশ মানুষের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধের কৌশল হিসেবেই টার্গেট করা হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে। যা স্পষ্টই যুদ্ধাপরাধ।
দেশটির হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অনেকটা টার্গেট করেই হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে একের পর এক ভবন। তৈরি হচ্ছে মানবেতর পরিস্থিতি। পুতিন বাহিনীর এমন আগ্রাসী আচরণকে যুদ্ধাপরাধের সাথে তুলনা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি ইউরোপ।
শুধু ইউক্রেনেই নয়, সিরিয়ায়তেও একই ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের পর থেকে দেশটির স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে আড়াই শতাধিক হামলা চালিয়েছে পুতিন সরকার।
/এডব্লিউ
Leave a reply