আলুর দাম নিয়ে চাষির স্বস্তি, তবে বেকায়দায় নিম্নআয়ের মানুষ

|

দুর্মূল্যের বাজারে তরকারি হিসেবে আলুই ভরসা রংপুরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। তবে ভরা মৌসুমেও গতবারের চেয়ে দাম বেশি। এতে বেকায়দায় নিম্নআয়ের মানুষ। তবে ফলন আর দাম নিয়ে খুশি চাষিরা। এ অবস্থায় মূল্য নিয়ন্ত্রণে পথ খোঁজার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

গঙ্গাচড়ার মাহমুদা বেগমের ৬ সদস্যের পরিবার। স্বামী দিনমজুর। তাই, দুর্মুল্যের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা। ভাতের সাথে তরকারি হিসেবে ভরসা তাই আলু। উত্তরের প্রান্তিক জনপদে অনেক পরিবারেরই চিত্র একই। কিন্তু যে আলু খেয়ে বাঁচবেন, তার দামও বাড়ছে। গতবছর এই সময়ে খুচরা বাজারে ১০ টাকা কেজিতে যা মিলতো, তা এখন দ্বিগুণ হয়েছে। তাই দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে মাহমুদা বেগমের।

ভোক্তারা উদ্বিগ্ন হলেও দাম নিয়ে খুশি রংপুর অঞ্চলের আলু চাষীরা। উত্তরাঞ্চলের ৪টি কৃষিজোনে এবার আলুর আবাদ হয়েছে প্রায় পৌনে চারলাখ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে ৮০ লাখ টনেরও বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক মনে করেন, দেশের বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতিতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তার পথ খোঁজার তাগিদ দিচ্ছেন তিনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply