ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষোভে ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছে কসোভো ও বসনিয়া!

|

কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভজোসা ওসমানি। ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চিম বলকানে রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে এবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় পূর্ব ইউরোপীয় দুই দেশ কসোভো এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। এতে দেশগুলোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন দেশ দুইটির নেতারা। মঙ্গলবার ( ৫ এপ্রিল) এমন খবর প্রকাশ করে আল জাজিরা।

ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ লাভের সম্ভাবনার কারণেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে রুশ হামলার অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এই সঙ্কটটি পশ্চিম বলকানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশগুলোর ন্যাটোতে যোগদান করার সম্ভাবনায় এর আগেও পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করেছে রাশিয়া। ২০১৭ ও ২০২০ সালে ন্যাটো সদস্য হওয়ার আগে মন্টিনিগ্রো এবং উত্তর মেসিডোনিয়ায় পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করেছে পুতিনের দেশ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০-এর দশকে তৎকালীন সার্বিয় রাষ্ট্রপতি স্লোবোদান মিলোসেভিচের প্রশাসনের অধীনে বসনিয়া ও কসোভোতে গণহত্যা চালায় সার্বিয়ান বাহিনী। তাই উভয় দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ট্রান্সআটলান্টিক সামরিক জোটে যোগদানকে একটি কৌশলগত লক্ষ্যে পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের মধ্যে শুধু কসোভো ও বসনিয়াই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশ নয়। সার্বিয়াও ন্যাটোভুক্ত না। উপরন্তু দেশটি ন্যাটোকে তাদের শত্রু সংগঠন হিসেবেই দেখে। ১৯৯৯ সালে কসোভোতে জাতিগত আলবেনিয়ানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা প্রতিরোধের লক্ষে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ৭৮ দিনের যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল ন্যাটো।

এদিকে, বসনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিফেট পডজিকের বলেছেন, বসনিয়া বর্তমানে ন্যাটো সদস্যপদ লাভের কর্ম পরিকল্পনায় (এমএপি) অংশগ্রহণ করছে। যেটিকে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আগে শেষ ধাপ হিসাবে দেখা হয়।

কিন্তু ইউক্রেনের মতো বসনিয়ার ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনায়ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও দেশ দুইটির মধ্যে দূরত্ব রয়েছে দীর্ঘ ২৪০০ কিলোমিটারের। বসনিয়াতে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস বসনিয়ার ন্যাটোতে যোদগানের ব্যাপারে গতবছর সতর্ক করেছিল।

গত মাসে সেই সতর্কবার্তা আবারও মনে করিয়ে দিয়ে বসনিয়ায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইগর কালাবুখভ বলেছেন, যদি বসনিয়া কোনো কিছুর সদস্য হতে পছন্দ করে, সেটা তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু আরেকটি বিষয় আছে, ‘রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া।’

এদিকে, কসোভোর রাষ্ট্রপতি ভজোসা ওসমানি বলেছেন- কালাবুখভের সতর্কবার্তাটি প্রমাণ করে আমাদের অঞ্চল নিয়ে রাশিয়ার একটি ধ্বংসাত্মক আগ্রহ রয়েছে। তাদের কসোভো, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং ক্ষেত্রবিশেষ মন্টিনিগ্রোতেও আক্রমণ করার সম্ভাবনা আছে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply