রুশ হামলা কিছুটা কমে আসায় এবার যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ আর হতাহতের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী। রাজধানী কিয়েভের আশপাশের এলাকাগুলোতে যাচ্ছে তারা। কর্তৃপক্ষ বলছে, এলাকাগুলোতে মিলেছে নিরপরাধ বাসিন্দাদের টার্গেট করে নির্মমভাবে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বহু প্রমাণ।
ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ধ্বংসযজ্ঞের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে কাজ করতে গিয়ে পুলিশ ছবি তুলে বা এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে যাচাই করছে সত্যতা। মূলত বিশ্ববাসীর সামনে রুশ সেনাদের নৃশংসতা তুলে ধরতেই এমন পদক্ষেপ তাদের। পুলিশ কর্মকর্তা আলা পুস্তোভা বললেন, রুশ সেনারা এখানে যে বর্বরতা চালিয়েছে তার তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি আমরা। ভুক্তভোগী, নিখোঁজ ও নিহতদের বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। এখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তারা এসব তথ্য সংগ্রহ করছেন বলেও জানালেন তিনি।
ইউক্রেনের ছোট্ট একটি গ্রাম, আন্দ্রিভকায় দুদিনের অভিযানে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিলেছে টার্গেট করে বেসামরিক স্থাপনায় হামলাসহ বাসিন্দাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানোর প্রমাণও। এলাাকাবাসী জানায়, মার্চের ২ তারিখ রুশ বাহিনী প্রথম এখানে আসে। প্রথমেই সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ভেঙে ফেলে সেগুলো। একজনের হাতের সাথে আরেকজনের হাত বেঁধে ফেলে রেখেছিল স্থানীয়দের। এক দেড় দিন পর পর খাবার দেয়া হতো তাদের।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজধানী কিয়েভের আশপাশের এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৪ শতাধিক মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের সবার শরীরে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন।
/এডব্লিউ
Leave a reply