ক্রেতারাই নাকি কেজি দরে কিনতে চান তরমুজ?

|

অস্বাভাবিক মুনাফা করা নিষিদ্ধ হলেও রমজানে খুচরা বাজারে চড়া মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। বিক্রেতাদের দাবি, ক্রেতারাই কেজি দরে তরমুজ কিনতে চান। আর ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোয় বাড়তি দামে কেনা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। অবশ্য পাইকারি বাজারে পিস হিসেবে বিক্রি হয় তরমুজ, তবে খুচরা বাজারে গেলেই বদলে যায় চিত্র।

কৃষি বিপণন আইনে পরিষ্কার উল্লেখ আছে কীভাবে, কতটুকু মুনাফায় তরমুজ বিক্রি করা যাবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! প্রায় সব তরমুজ বিক্রেতাই পাশে রাখছেন পরিমাপক যন্ত্র। আকার ভেদে যে তরমুজ পিস হিসিবে একশ থেকে দুইশ টাকার মধ্যে কিনে এনেছেন, তা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন দ্বিগুণ বা তিনগুণ দামে। কোনো কোনো বিক্রেতা দোষ চাপাচ্ছেন ক্রেতার ওপর। বলছেন, ক্রেতারাই নাকি কেজি দরে তরমুজ কিনতে চায়। এমনকি পিস হিসেবে দাম বললেও নাকি তারা কেজি হিসেব করে নেয়ার আগ্রহ দেখায়।

কিন্তু ক্রেতারা কি আসলেই কেজিতে তরমুজ কিনতে চান? বাজারে এমন ক্রেতা পাওয়া গেলো না, যিনি কেজিতে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। সবারই অভিযোগ বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে কেজিতে বিক্রি করছে তরমুজ। এখন কেজিত বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

সম্প্রতি তরমুজের বাজারে অভিযানও চালায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থাটির পরিচালক শাহরিয়ার আলম জানালেন, কোন পর্যায়ে কী পরিমাণ লাভে তরমুজ বিক্রি হবে, তা নির্ধারণ করে দেয়া আছে। কৃষি বিপণন অধিদফতর সকল প্রকার তাজা ফলের ক্ষেত্রে উৎপাদক পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ ও খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মুনাফার সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩০ শতাংশ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply