মামুনুর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার:
‘আমার দলের কিছু ফুটবলারকে সন্দেহ হয়েছে’— যমুনা নিউজকে বলছিলেন ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান কোচ সাইফুল ইসলাম চঞ্চল। কেন এমনটা বলছিলেন, সাবেক এই ফুটবলার। পেছনে ফেরা যাক।
গত কয়েকদিন ধরে দেশের ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন চলছিল পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটির বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর । আর তা প্রকাশ্যে আসে আজমপুর ফুটবল ক্লাবের কোচের দায়িত্ব থেকে জালাল আহমেদ পদত্যাগ করলে। কারণ, পদত্যাগের সময় জালাল আহমেদ অভিযোগ করে জানান, ফরাশগঞ্জের ফুটবলাররা নাকি তাড়াতাড়ি গোল দিতে আজমপুর ক্লাবের ফুটবলারদের তাগাদা দেন। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিসিএল) এ দুই ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর যমুনা নিউজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ম্যাচ পাতানোর পাশাপাশি ফরাশগঞ্জের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগও। তবে অভিযোগের তীর ফুটবলারদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম চঞ্চল।
আরও পড়ুন: ‘ভাই তাড়াতাড়ি গোল দেন’, ম্যাচে এমন কথা বলছেন দেশের ফুটবলাররা
ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের এ কোচ বলেন, শুনতেছি কিছু কিছু ফুটবলার নাকি জড়িত আছে। সেভাবে কোনো প্রমাণ পাচ্ছি না। তবে ফকিরেরপুল ইয়ংম্যান্সের বিপক্ষে আমার দলের কিছু ফুটবলারকে সন্দেহ হয়েছে। আমরা শক্তিশালী দল করেছি, কিন্তু ফলাফল বের করতে পারছি না।
ফুটবলারদের মধ্যে ঐক্য নাই বলেও জানান সাইফুল আলম চঞ্চল। বলেন, ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে হেরেছি। এটাও আমার কাছে কেমন যেন লেগেছে।
এর আগে কাওরান বাজার ক্রীড়া সংঘের সাথে সংশ্লিষ্ট একজনের স্বীকারোক্তিতে যমুনা নিউজের প্রতিবেদনে উঠে আসে ক্লাবটির ম্যাচ পাতানোর তথ্য। সেখানেও কাওরান বাজার ক্রীড়া সংঘের প্রতিপক্ষ ছিল ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব।
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল বেশ কয়েক বছর খেলেছেন ফরাশগঞ্জের হয়ে। এরপর ক্লাবটিতেই কামাল বাবুর অধীনে ছিলেন সহকারী কোচের দায়িত্বে। আর গত দুই মৌসুম ধরে ক্লাবটির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
/এমএন
Leave a reply