কাতার বিশ্বকাপে শোষিত হয়েছে শ্রমিক, আয়োজিকদের স্বীকারোক্তি

|

ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা স্বীকার করেছে যে, ফিফা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কাজে দেশটিতে বিশাল সংখ্যক শ্রমিকদের শোষণ করা হয়েছে। খবর প্রকাশিত হয়েছে স্পোর্টস বাইবেলে।

কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক দ্য সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি শ্রমিক শোষণের কথা স্বীকার করে একটি বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বেশ কিছু ধাপে তিনটি কোম্পানির কাজে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের করা এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে ঘটে যাপয়া অমানবিক শোষণের অনেক গল্প। সেখানে বলা হয়, এ ধরনের শোষণ সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। বিশাল সংখ্যক শ্রমিককে জোরপূর্বক কাজ করানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সাথে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের ওপর খবরদারি চালানোর জন্য প্রণীত ‘ওয়াচ লিস্ট’ ও ‘ব্ল্যাক লিস্ট’।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে জানা যায়, সেখানে শ্রমিকরা দিনে প্রায় ১২ ঘণ্টার উপরে কাজ করেন এবং তারা পান না কোনো সাপ্তাহিক ছুটি। এমন শ্রমিকও আছেন যারা ৩ বছর ধরে কোনো ছুটি কাটাননি। যারা জোরপূর্বক ছুটি কাটিয়েছেন তাদের জন্য পরবর্তীতে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে কেটে নেয়া হয়েছে তাদের বেতন।

গত বছর দ্য গার্ডিয়ানের করা এক প্রতিবেদনে এটিকে ‘আধুনিক দাসত্ব’ বলে আখ্যা দেয়া হয়। সেই সাথে প্রতিবেদনটিতে জানা যায়, বিশ্বকাপের স্বত্ব পাওয়ার পর থেকে কাতারে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি শ্রমিক মারা যান। এর বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত্যুর আসল সংখ্যাটা এর চেয়েও বেশি।

এর আগে, কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কথা বলেছিলেন ইংল্যান্ডের ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট। তিনি বলেছিলেন, আমি জানি না এভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে কী অর্জিত হয়। তবে আসরটি সামনের দিকেই এগোবে। স্টেডিয়াম নির্মাণ নিয়ে ঘটনাটি ধর্ম ও সংস্কৃতির ঊর্ধ্বে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আর এই ব্যাপারে আমাদের কিছু করারও নেই।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আলোর নিচে ৩ বছর ছুটি না পাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের গল্প

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply